অবশেষে শুরু হলো আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অবশেষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে এটি মামলার দশম দিনের কার্যক্রম।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
বিজ্ঞাপন
আজ মামলার ১২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার, মঈনুল করিম, সহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারিত থাকলেও সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১০ নভেম্বর ধার্য করা হয়। এরও আগে ২১ অক্টোবর ও ১৩ অক্টোবর দুই দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
গত ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে জবানবন্দি দেন পুলিশের দুই উপপরিদর্শক রফিক ও রায়হানুল রাজ দুলাল। তারা জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। পরে তাদের জেরা করেন পলাতক আসামিদের স্টেট ডিফেন্স ও উপস্থিত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে, ২৯ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের কার্যক্রমে তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ২২ সেপ্টেম্বর সপ্তম দিনে সিয়াম আহসান আয়ানকে জেরা করা হয়, যিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রথম ব্যক্তি ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনের জেরায় অংশ নেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনিসুর রহমান। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি সাক্ষ্য দেন, একই দিনে এসআই মো. তরিকুল ইসলামও জবানবন্দি দেন।
৮ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলামকে জেরা করা হয়, যিনি আগের দিন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। ওই দিনই দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হককেও জেরা করা হয়।








