তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, জানালেন শিশির মনির

তিনি জানান, জুলাই সনদে যদি গণভোটে পাস হয় এবং নতুন সংসদে সংবিধান সংস্কার সভা তা গৃহীত করে, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফরম্যাটে পরিবর্তন আসতে পারে। এটি নির্ভর করবে সনদ পাস এবং গৃহীত হওয়ার ওপর।

আরও পড়ুন: ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা’

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে সংবিধানে পুনর্বহাল করেছে।

এই ঐতিহাসিক রায়ের পর শিশির মনির বলেন, সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে এসেছে। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হবে। অর্থাৎ সংসদ ভাঙার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে।

রায়ের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচনী নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী শেখ আবজালুলের জেরা ঘিরে ট্রাইব্যুনালে উত্তেজনা

শিশির মনির আরও জানান, সংবিধানে পুনর্বহালের ফলে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে, তবে ভবিষ্যতে জুলাই সনদ পাস হলে নতুন ফরম্যাটে পরিবর্তন সম্ভাব্য। এই সিদ্ধান্ত দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।