Logo

শুধু আওয়ামী লীগ করার কারণে যেন বিচার না হয়: আমির হোসেন

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪০
17Shares
শুধু আওয়ামী লীগ করার কারণে যেন বিচার না হয়: আমির হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের মানবতাবিরোধী মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পলাতক চার আসামির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে যে, শুধু আওয়ামী লীগ করা বা দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যেন বিচার না হয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের প্যানেলের সামনে প্রথমে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় চারজনই পলাতক। এদের মধ্যে আছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

বিজ্ঞাপন

প্রসিকিউশন এদিন মামলার তিনটি অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও সাক্ষী উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, এই অপরাধের দায়মুক্তির সুযোগ নেই। এই মামলা কোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়; নির্দোষদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে না।

এরপর পলাতক আসামিদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে বলেন, প্রসিকিউশনের বক্তব্যের কিছু অংশের সঙ্গে আমরা একমত। তবে আমাদের আসামিরা আওয়ামী লীগ করি। শুধু দলের পরিচয় দিয়ে যেন বিচার হয় না।

ট্রাইব্যুনাল তার জবাবে বলেন, আল্লাহকে হাজির-নাজির রেখে এখানে ন্যায়বিচার করা হবে এবং অভিযুক্তরাও বিচার পাওয়ার অধিকার রাখেন।

বিজ্ঞাপন

মানবতাবিরোধী এ মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী রয়েছেন। তাদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য ৮ জন, প্রত্যক্ষদর্শী ৮ জন, আহত ৮ জন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ৬ জন, পুলিশ ১ জন, সাংবাদিক ১ জন, জব্দ তালিকা ২ জন, বিশেষজ্ঞ ২ জন, বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ১ জন এবং মূল তদন্ত কর্মকর্তা ১ জন। প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর।

এর আগে, ২৮ অক্টোবর হানিফসহ চার আসামির পক্ষে অভিযোগ পড়া হয় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেনের মাধ্যমে। এছাড়া ২৩ অক্টোবর তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার চেষ্টা করা হয়। পলাতক থাকায় ট্রাইব্যুনাল-২ তাদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে রয়েছে – উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ষড়যন্ত্র এবং কুষ্টিয়ায় নিরীহ ছয়জনকে হত্যা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া শহরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে নিহত হন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী এবং চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ। এই হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়।

বিচারের এই পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল নিশ্চিত করেছে, রাজনৈতিক পরিচয় বা দলীয় সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে কোনো পক্ষের সঙ্গে অন্যায়ভাবে আচরণ করা হবে না এবং ন্যায়বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD