ঋণখেলাপি তালিকা থেকে নাম সরানো নিয়ে চেম্বার আদালতে মান্না

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদন করেন। এর আগে মান্না হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন, তবে তা খারিজ হয়ে যায়।
হাইকোর্টের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নির্বাচনে মান্নার অংশগ্রহণে বাধা রয়েছে। মান্নার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
চেম্বার আদালতে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম। মান্নার পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, তারা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান ‘আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’-এর কাছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বগুড়া বড়গোলা শাখা, ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে। নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় মান্না ও তার অংশীদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আফাকু কোল্ড স্টোরেজে মান্নার অংশীদারিত্ব ৫০ শতাংশ, বাকি ৫০ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ও ইসমত আরা লাইজুর।
বিজ্ঞাপন
ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তবে নিয়মিত মুনাফা বা জরিমানা পরিশোধ না করায় বকেয়া এখন ৩৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া বড়গোলা শাখার প্রধান তৌহিদ রেজা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।








