আবু সাঈদ হত্যায় সম্পৃক্ত ছিলেন তৎকালীন বেরোবির ভিসি হাসিবুর

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদ সম্পৃক্ত ছিলেন—এমন তথ্য উঠে এসেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-তে অনুষ্ঠিত আবু সাঈদ হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে এই তথ্য জানানো হয়। মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসিসহ মোট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন উল্লেখ করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন উপাচার্য হাসিবুর রশীদ স্বতঃসিদ্ধ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তদন্তে উঠে এসেছে, রংপুরের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানও আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ঘটনা ঘটিয়েছেন। এছাড়া মামলার শীর্ষে থাকা ছয়জন আসামির মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম। রুহুল আমিন জানান, প্রক্টর শরিফ দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য আসামিদের বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করেননি এবং আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন।
জবানবন্দিতে আরও বলা হয়, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া গত বছরের ১১ জুলাই আবু সাঈদকে থাপ্পড় মারার পাশাপাশি হত্যার পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এছাড়া সাবেক এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ও আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
আবু সাঈদ হত্যার এই মানবতাবিরোধী মামলার প্রক্রিয়া চলমান, যেখানে তদন্ত কর্মকর্তা তৃতীয় দিনে সম্পূর্ণ ঘটনার ধারাবাহিকতা তুলে ধরছেন। আদালত সাক্ষী ও তদন্ত সংস্থার বক্তব্যের ভিত্তিতে আসামিদের দায় নির্ধারণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।








