আল্লাহ যা করেছেন মঙ্গলের জন্যই করেছেন: সুবহা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথমে গোপনে বিয়ে তারপর সংসার জীবন নিয়ে ঝামেলা এসব করে আলোচনায় এসেছিলেন মডেল-অভিনেত্রী সুবহা শাহ হুমায়রা ও সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন। তাদের দাম্পত্য কলহ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে ১০ লাখ টাকায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় আপস করেছেন নায়িকা।
গত সোমবার (২৫ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আবেরা সুলতানা খানমের আদালতে উপস্থিত হয়ে এসব তথ্য জানান সুবহা। এ সময় তার সাবেক স্বামী ইলিয়াস হোসাইনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক আগামী ২৭ জুলাই এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
সুবহা বিচারককে বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে ১০ লাখ টাকায় মামলা মীমাংসা করেছি। টাকা আমি বুঝে পেয়েছি। এখন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
নায়িকার ভাষ্য, ‘যে সংসার করবে না, তার সঙ্গে জোর করে সংসার করা যায় না। ইলিয়াস তার জীবন নিয়ে ভালো থাকুক, আমি আমার মতো ভালো থাকি। পারিবারিকভাবে আমাদের আপস হয়েছে।’
এদিকে মীমাংসার পর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে হেয় করার অভিযোগ তুলেছেন সুবহা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
সুবহার লিখেছেন, ‘৫/৬ মাস ধরে ইলিয়াসের পরিবার আমার পরিবারকে নিয়ে মীমাংসার জন্য আমাকে বলছিলো। তাই আমি তাদের সঙ্গে মীমাংসা করেছি এবং কেস তুলে নিয়েছি, সেও (ইলিয়াস) তাই করেছে। যা হয়েছে দুজনের জীবনের ভালোর জন্যই হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেনমোহরের টাকা আর কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাধু হওয়ার চেষ্টায় সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেই যাচ্ছে। দেনমোহরের টাকা দিয়ে এতো নাটক করার কি আছে? না দিতে পারলে মীমাংসার সময়েই বলতো, আমরা দিতে পারবোনা। কিন্তু তার পরিবার তখন এই কথাগুলো বলেনি। শুধুমাত্র আমাকে ছোট করার জন্যই এসব বলা এবং করা হচ্ছে।’
নায়িকা উল্লেখ করেন, ‘মীমাংসার আপসনামায় স্পষ্ট লেখা আছে, কেউ কারও বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কোন হেয় প্রতিপূর্ণমূলক কথা বলবো না এবং একে অপরের মামলা নিজ দায়িত্বে তুলে ফেলবো।’
সুবহা লিখেছেন, ‘বিয়ের পর আইনগতভাবে দেনমোহরের ভরণপোষণ-খোরপোষের টাকা প্রতিটা মেয়ের প্রাপ্য অধিকার এবং এটি অবশ্যই হালাল ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক। কারণ তার সঙ্গে আমার ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল। শেষ অবধি সংসার করতে চেয়েছি। শুধু সংসার বাঁচানোর জন্য আমি তাকে ছেড়ে কোথাও যাইনি। তাদের মতো কাউকে বলিও নাই, আসেন আমার সঙ্গে মীমাংসা করেন এবং টাকা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। আমি আর কোনো প্রকারের কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাইনা। দুই পরিবারের সম্মানের দিকে তাকিয়েই মীমাংসা করেছি।’
তার ভাষ্য, ‘আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং আস্থা ছিল, আছে এবং থাকবে। আল্লাহ যা করেছেন মঙ্গলের জন্যই করেছেন।’
সুবহা বলেন, ‘সাংবাদিক ভাই ও বোনদের কাছে অনুরোধ, বিয়ের পর আমাদের জীবনে সমস্যার তৈরি হয়েছিল, পারিবারিক এবং আইনগতভাবে সেটি আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একতরফা মনগড়া ভাইরাল হেডলাইন দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। নিজেরাও ভালো থাকুন, আমাকেও ভালো থাকতে দিন।’
ওআ/
বিজ্ঞাপন
