শচীন আমাকে ভয় পেত না: শোয়েব আকতার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতীয় ক্রিকেট এবং শচীন টেন্ডুলকার, নব্বই দশকে একটি আরেকটির সমার্থক শব্দে পরিনত হয়েছিল। ১২০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে ক্রিকেট মানেই টেন্ডুলকার। ভারতে ক্রিকেট শুধু খেলা হিসেবে নয়, একে ধর্মজ্ঞান করে সেদেশের দর্শকেরা, আর সেই ধর্মের ঈশ্বর হলেন টেন্ডুলকার। ভারতবর্ষে তাকে “গড অব ক্রিকেট” বলে তো আর এমনি এমনি ডাকা হয় না।
এ দিকে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার বিশ্বের দ্রুততম বোলার। তার ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে,তিনি তাঁর মারাত্মক বোলিং দিয়ে সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়কে মাটি ধরিয়ে দিতে বাধ্য করেছিলেন।‘দ্য রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ তার গতি, তীক্ষ্ণ বাউন্সার ও সুনির্দিষ্ট ইয়র্কারের জন্য পরিচিত ছিল। সেই দাপটেই ব্যাটারদের নাকানিচোবানি খাইয়েছেন তিনি। কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকারের সঙ্গে তার দ্বৈরথ ছিল দেখার মতো। নব্বই দশকের শেষের দিকে দুই প্লেয়ার বেশ কয়েক বার পরপর একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে একটি কথোপকথনে শোয়েব আখতার বলেছিলেন, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে যখন বেশির ভাগ ব্যাটার তার বলের গতিতে ভয় পেতেন, তখন শচীন তেন্ডুলকার তাকে ভয় পাননি। বরং সবচেয়ে ভালোভাবে খেলতেন। বিশেষ করে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময়। শোয়েব আখতার বলেন, ২০০৩ বিশ্বকাপেও আমরা চাপের মধ্যে ছিটকে গিয়েছিলাম। কিন্তু ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শচীন আমাকে দুর্দান্ত খেলেছিল। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই আমাকে খেলতে ভয় পেত। অনেক ব্যাটারের ফুটওয়ার্ক খারাপ হয়ে যেত।
তবে এখন ভারত-পাকিস্তান খেলায় শচীন-আখতার দ্বৈরথ ইতিহাস হয়ে গেছে। বিরাট কোহলি, বাবর আজম, রোহিত শর্মারা সেই জায়গা দখল করেছেন। তবে এবার এশিয়া কাপে ভারতের বোলার জসপ্রীত বুমরাহ বা পাকিস্তানের তারকা শাহিন আফ্রিদি না থাকায় ম্যাচের জৌলুস কি কমবে? দুই তারকা বোলারকে কতটা মিস করবে দুই দেশ? সময়ই এর জবাব দেবে। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অবশ্য অন্য কোনো অংকই কাজ করে না। এর উন্মাদনাই আকাশছোঁয়া থাকে।
আরএক্স/