সাতটি পণ্যের দাম বেঁধে দিবে কৃষি মন্ত্রনালয়: বাণিজ্যমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সাতটি পণ্যের দাম বেঁধে দিবে কৃষি মন্ত্রনালয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, তারা ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেঁধে দিতে পারেন। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাকি সাতটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের। দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওকাব) আয়োজিত ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী তার পূর্বের বক্তব্য থেকে সরে এসে এসব কথা বলেন। ওকাব আহ্বায়ক কাদির কল্লোলের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম মিটু।

গত ৩০ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী চাল, গম, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, মসুর ডাল, রড ও সিমেন্টের দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। ১৫ দিনের মধ্যে তা কার্যকরের কথাও বলেন তিনি। সে হিসেবে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সেই সময় শেষ হয়। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী আরও সাত দিন সময় চেয়েছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।গত ৩০ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর কৃষিমন্ত্রী এর বিরোধিতা করেছিলেন।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সাড়া দিলে ডিম আমদানি করা হবে। দাম নির্ধারণ হবে আলোচনার মাধ্যমে। ভারত থেকে ডিম আমদানি করে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেওয়ার পক্ষে আমি। আজই কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ বিষয়ে কাগজ পাঠাব। তবে কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টিও দেখতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদেরকে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই দেখতে হবে। যথেষ্ট হিমাগার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। ফলে সেপ্টেম্বরে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ উৎপাদন করার চিন্তা করা হচ্ছে।

ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে সরকার কী ভাবছে এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘ডলারের পাশাপাশি ইউয়ান ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যারিফ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারত অ্যন্টি ডাম্পিং ট্যারিফ বসাতে পারে না। আন্তর্জাতিক আদালতে না গিয়ে আমরা চাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন বিষয়টি সমাধানের।’


জেবি/ আরএইচ/