বিসিক কর্মকর্তা সমিতির অভিষেক ও শপথ গ্রহণ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২২


বিসিক কর্মকর্তা সমিতির  অভিষেক ও শপথ গ্রহণ
ছবি: জনবাণী

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্মকর্তা সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁস্থ বিসিক ভবনে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 


বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এবং  শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। 


এর আগে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি  বিসিক প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর উদ্বোধন করেন। 


‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন শেষে শিল্প মন্ত্রী বিসিক কর্মকর্তা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিসিক কর্মকর্তা সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অখিল রঞ্জন তরফদার এবং মহাসচিব জিএম রব্বানি তালুকদারসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান। 


সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের সব স্তরের সরকারি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানানোর জন্যই এ উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর আদর্শ, জীবনাচার, রাজনৈতিক দর্শন, নেতৃত্বগুণ, দেশপ্রেমসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিসিকের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে। এ কর্নারের উদ্দেশ্য হলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ, তাঁদের নৈতিকতা ও মননশীলতার উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করা। 


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগাতে হবে, বেকার সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে দেশের শিল্প খাতের সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিল্পোন্নত দেশ গড়ার লক্ষেই বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে ইপসিক অর্থাৎ আজকের বিসিকের গোড়াপত্তন করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বিসিক তাঁর চেতনাকে লালন করে সারা দেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান বিসিকের “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এর মাধ্যমে তা দেশের মানুষ ভালোভাবে জানতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।


তিনি আরও বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।


এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, বিসিক ভবনে স্থায়ী “বঙ্গবন্ধু কর্নার” স্থাপন করায় আমি বিসিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। এ “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আর্দেশকে প্রজম্ম থেকে প্রজম্মে সঞ্চালিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আর্দেশে উজ্জীবিত হয়ে দেশে শিল্পায়ন করতে হবে। দেশে ব্যাপক কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, বেকারত্ব দূর করতে হবে। তাহলে অচিরেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।

জেবি/ আরএইচ