যে কারণে পুরুষরা আগে প্রেমে পড়ে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, ২৬শে জুলাই ২০২৫


যে কারণে পুরুষরা আগে প্রেমে পড়ে
প্রতীকী ছবি।

প্রেম মানেই নারীরা বেশি আবেগী এই পুরোনো ধারণা এবার চ্যালেঞ্জের মুখে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য: নারীদের চেয়ে পুরুষরাই আগে প্রেমে পড়ে, এবং অনেক সময় তা বেশ তাড়াতাড়িও।


আরও পড়ুন: দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক, যেসব লক্ষণ দুশ্চিন্তার বিষয়


অ্যাডাম বোডের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায়, গড়পড়তায় পুরুষরা নারীদের চেয়ে প্রায় এক মাস আগে প্রেমে পড়ে। তবে বিষয়টি শুধুই আবেগের নয়—এতে রয়েছে কৌশলগত দিকও।


বোডে বলেন, ‘পুরুষদের প্রমাণ করতে হয় যে তারা সম্পর্কের ব্যাপারে সিরিয়াস। নাহলে সম্পর্কটা এগোয় না। অনেক সময় প্রেমে পড়ার প্রকাশটাই সেই প্রতিশ্রুতি দেখানোর একটা উপায়।’


গবেষণায় কী কী পাওয়া গেছে?

এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ৩৩টি দেশের ৮০০ জনের বেশি তরুণ-তরুণী, যারা সম্পর্কের একদম শুরুতে রয়েছেন (প্রথম দুই বছরের মধ্যে)। তাদের কাছ থেকে নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়: তারা কবে প্রেমে পড়েছেন,কতটা গভীরভাবে প্রেম অনুভব করেছেন,দিনে কতবার সঙ্গীর কথা মনে পড়ে,সম্পর্কের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ ছিলেন।


যে কারণে পুরুষরা আগে প্রেমে পড়ে


মজার ব্যাপার হলো, নারীরা সাধারণত বেশি আবেগী হন, সঙ্গীর কথা বেশি ভাবেন, কিন্তু প্রেমে পড়ার দিক দিয়ে পুরুষরা অনেক সময় এগিয়ে।


আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য – ৩৯ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা প্রেমে পড়েছে তখন, যখন তারা আগে থেকেই সে সম্পর্কে ছিল। তার মানে, ‘ভালোবাসা প্রথম দর্শনে’ নয়, বরং ‘প্রথম ঝগড়ার পর’ ধরনের একটি ব্যাপার ঘটেছে তাদের সঙ্গে।


পুরনো গল্প কি ভুল?

‘নারীরা বেশি প্রেমে পড়ে, পুরুষরা পরে আসে’ – এই চিন্তাকে আগাগোড়া একটি স্টেরিওটাইপ বলছে গবেষণাটি। বাস্তবতা আরও জটিল। পুরুষদের দ্রুত প্রেমে পড়া হয়তো আবেগ নয়, বরং একজনকে জয় করার সামাজিক চাপের প্রতিফলন। অর্থাৎ, কেউ যদি প্রথমে প্রেমে পড়ে, সে শুধু আবেগে নয়, দায়িত্বেও পড়ে।


আরও পড়ুন: যে কারণে প্রাক্তনকে বারবার মনে পড়ে


ভালোবাসা কখন কার মনে বাসা বাঁধবে, সেটা নির্ধারণ করা যায় না। কেউ যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রেমে পড়ে, সেটা নিয়ে হাসাহাসি নয়—বরং ভাবা উচিত, সে হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।


সূত্র: অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি — Study on Romantic Love, 2025



এসডি/