বৃষ্টি কেড়ে নিলো বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শিরোপার সপ্ন

শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। স্বাগতিকদের টপকে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে থাইল্যান্ড নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।

একটি জয় প্রয়োজন ছিল। প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত। উড়িয়ে দেওয়ার মতো বলে কয়ে। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে কি আর পারা যায়। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় টস হওয়ার কথা ছিল কিন্তু অঝোরে ঝরতে থাকা বৃষ্টির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। বাড়তে থাকে অপেক্ষা। বৃষ্টি থামার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যায়নি তারপর ১০টা ৫৪ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। 

আমিরাতের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট থাইল্যান্ডের সমান ৬ হতো। রান রেটে এগিয়ে থাকায় এক প্রকার নিশ্চিত ছিল সেমিফাইনাল। বৃষ্টি আর তা হতেই দিলো না।

টুর্নামেন্টে শুরুটা বাংলাদেশের হয়েছিল সেই থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আবার জয়। এরপর টানা দুই ম্যাচে ভারত-শ্রীলঙ্কার কাছে হার। ভারতের কাছে হার প্রত্যাশিত থাকলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে হারাটা ছিল হতাশার। এখানেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। 

ম্যাচটিতে বৃষ্টির কারণে ৭ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪১। ৪২ বলে ৪১ রান। হাতে ১০ উইকেট। সিঙ্গেল নিলেও হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তা পারলো না। ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটাই হাতছাড়া করে। লঙ্কানদের বিপক্ষে জিতলে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতো হতো না। 

সিলেট ছিল মেয়েদের পরিচত মাঠ। এখানের প্রতিটি বালুকণা তাদের চেনা। কিন্তু এখানেই নিজেদের সেরাটা খেলাটা খেলতে পারেনি। বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত না খেলার অজুহাতও দিয়েছেন মেয়েরা। তাই বলে এভাবে হারবে ম্যাচ? সেটি তারা নিজেরাও বিশ্বাস করতে পারেননি। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের মাঠে এশিয়া কাপ খেলতে নেমে এমন ভরাডুবি, মেনে নেওয়া কঠিন বটে। তাই তো লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের পর জলে ভেসেছিল জ্যোতিদের চোখ। 

২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছেলেদের নকআউটে ওঠার পেছনে বড় প্রভাবক ছিল বৃষ্টি। এবার সেই বৃষ্টি মেয়েদের ক্রিকেটের যেন হন্তারক। 

গতবার মালয়েশিয়ায় ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবার ৫ ম্যাচের ৩টিতে হেরে সেমিতে ওঠার আগেই বাদ। তাই তো আক্ষেপ করে জাহানারা বলছিলেন, ‘হোম গ্রাউন্ডে খেলা, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আমরা। যদি কোনও কারণে সেমিফাইনালে মিস করি আমাদের দলের থেকে মনে হয় না অন্য কারও খারাপ লাগাটা কাজ করবে।’

এইচআর/