ময়মনসিংহে মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে আহত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, ৫ই নভেম্বর ২০২২
সন্তানদের সুশিক্ষিত করার জন্য পড়াশোনা করাতে হয়। আর পড়াশোনা করাতে দিতে হয় স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসায়। আর শিক্ষিত করতে শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছে দিতেই হবে। আর সেই শিক্ষক যদি হয় ঘাতক। তাহলে কোথায় গিয়ে সন্তানদের পড়াবো এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে রাহাতের মা।
এরই মাঝে গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ময়মনসিংহে নাযেরা বিভাগের ৮ বছরের ছাত্র রাহাতকে মেরে আহত করেছে তারই মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বীন ইসলাম।
জানা যায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কাঠগোলা বাজারের পশ্চিম পাশে বালুর ঘাটে অবস্থিত রাহমানিয়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাযেরা বিভাগে ৮ বছরের শিশু রাহাতকে বুকের মাঝে লাথি মেরে মাদ্রাসার দেয়ালে ফেলে দেয় শিক্ষক মো. দ্বীন ইসলাম।
এ ঘটনায় আহত রাহাত (৮) মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার মাথা ফেটে যায়। এদিকে এ ঘটনার পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ রাহাতকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে। দীর্ঘ ৩/৪ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে আসে রাহাতের।
ছেলেকে আনতে যায় রাহাতের বাবা মো. আল আমিন। মাদরাসায় পৌঁছে রাহাতের পিতা তার ছেলেকে দেখে অবাক হয়ে বলে বাবা তোমার কি হয়েছে। পুরো ঘটনা শোনার পর তার পিতা কিছু বলার আগেই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বলে কারো সাথে কিছু না বলতে।
রাহাতের পুরো পরিবার ঘটনাটি জানতে পায়। হতদরিদ্র পরিবার কি করবে, কোথায় যাবে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যখন জানতে পায় মামলা করবে। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মিমাংসা করার জন্য রাহাতের বাড়ি আসে। রাহাতের পরিবার জানতে চাই কি কারণে আমার ছেলেকে এভাবে মারলো। এর বিচার চাই। কিসের মিমাংসা আগে বিচার করেন। যে শিক্ষকে মারছে তাকে আসতে বলেন। এদিকে এঘটনার পর থেকেই শিক্ষক মো. দ্বীন ইসলাম পলাতক।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় আহত রাহাতের দাদী মোছা. রহিমা খাতুন অভিযোগ দায়ের করে।
জেবি/ আরএইচ/