স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বাজুসের ৭ প্রস্তাব


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২৫শে নভেম্বর ২০২২


স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বাজুসের ৭ প্রস্তাব
ছবি: জনবাণী

স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে ৭ প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।


বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে বিএফআইইউ ও বাজুসের যৌথ সভা শেষে এসব কথা বলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।


এ সময় বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালাসহ বাজুস নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


জুয়েলারী শিল্পে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে। এ অবস্থায় এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।


সভায় বাজুস জানায়, আমরা ধারণা করছি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।


বাজুসের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-


১. সোনা চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাজুসের সমন্বয়ে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন করা।


২. চোরাকারবারীরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা।


৩. সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের জোড়ালো অভিযান নিশ্চিত করা।


৪. চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা সমূহের সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থা সমূহের সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


৫. ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ে কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করা।


৬. অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন সোনার বার বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য সরকারের সংশ্লিস্ট সংস্থা সমূহকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান।


৭. জল, স্থল ও আকাশ পথ ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে কেউ যাতে সোনার বার বা অলংকার আনতে না পারে এজন্য কঠোর নজরদারীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।