পঞ্চগড়ে হোটেল রেস্তোঁরায় গুড়ের জিলাপী বেশ জনপ্রিয়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, ৬ই ডিসেম্বর ২০২২


পঞ্চগড়ে হোটেল রেস্তোঁরায় গুড়ের জিলাপী বেশ জনপ্রিয়
হোটেল রেস্তোঁরায় গুড়ের জিলাপী| ছবি: জনবাণী

পঞ্চগড়ের হোটেল রেস্তোঁরায় গুড়ের জিলাপি এখন বেশ জনপ্রিয় । দোকানে সাজানো জিলাপি দেখলে অনেকেই ছুটে যান খেতে। তবে ভাজার পর পর খেতেই বেশী মজাদার এই জিলাপি। দেখলে মন কেড়ে নেয় লালচে রং ধরা এই জিলাপি।গ্রাম-বন্দর শহর জুড়ে রয়েছে যার খ্যাতি। কথিত আছে আদি সময় থেকেই গুড়ের জিলাপি তৈরি হয়ে আসছে।


পঞ্চগড়ের গ্রাম বা মফস্বল এলাকার হাট-বাজারে এই জিলাপি সকাল হলেই তৈরী করেন দোকানী বা ছোট-বড় হোটেল মালিকরা। ময়দার সাথে পানি মিশিয়ে তৈরী এই জিলাপি সোয়াবিন বা পাম্প তেলে ভেঁজে থরথরে সাজিয়ে রাখা হয়।বড় গামলা বা ফাঁকা স্থানে এই জিলাপি রেখে দোকান মালিকরা এ সব বিক্রি করেন। ময়দা ও সোয়াবিনের দাম বেড়ে গেলেও বিক্রি কমেনি রেস্তোঁরায় এই জিলাপির। চিনির জিলাপির চেয়ে একটু দাম বেশী গুড়ের জিলাপির। এখন শীতকাল পাড়া মহল্লায় ওয়াজ মাহফিল চলে। সেখানে বসে জিলাপির দোকান।


সদর উপজেলার মালাধাম,আমলাহার,ঝলইহাট, কাজীর হাট, মডেল হাট, হাড়িভাসা হাট ফুটকীবাড়ি হাটে প্রতিদিন বিক্রি হয় এই গুড়ের জিলাপি। এছাড়াও জেলার সকল হাট বাজারে বিক্রি হয় এই গুড়ের জিলাপি। এ অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় ও সুস্বাদু এবং মুখরোচক খাবার গুড়ের জিলাপি।


বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ বাজারের হোটেল মালিক নিরঞ্জন বলেন ‘ প্রতিদিন দিন প্রায় ২০ কেজি গুড়ের জিলাপি বিক্রি হয়। 


ছোট বাজার ‘ তারপরে আমরা প্রতিদিন এই জিলাপি তৈরী করি।পঞ্চগড় বাজারের জিলাপি বিক্রেতা নাজিম বলেন ‘ প্রতিদিন দুই থেকে তিন মন জিলাপি বিক্রি হয়। প্রতিকেজি একশত ৬০ টাকা। তবে আগে আশি টাকা থেকে একশত টাকায় এক কেজি জিলাপি পাওয়া যেতো। গ্রাম শহরে জিলাপি পরোটা সহ নানা রকম খাবারে মানুষের আগ্রহ বেশ লক্ষ্যণীয়। এসব শহর বন্দরে হোটেলে কেনাবেচা অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে আটা ময়দার চাহিদা। 


আরএক্স/