ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
হোয়াইটওয়াশ করতে 'অসম্ভবকে সম্ভব' করতে হবে টাইগারদের!
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, ১১ই ডিসেম্বর ২০২২

ভারতের সঙ্গে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দু'টিতে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে তৃতীয় ম্যাচে দারুণ শুরু করেও ইশান-কোহলি জুটির অতিদানবীয় পার্টনারশিপে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে টিম ইন্ডিয়া।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ভারতকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন আনে। নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান ইয়াসির আলী রাব্বী। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের পরিবর্তে পেসার তাসকিন আহমেদকে নেয়া হয় দলে। এদিন ভারতীয় দলেও দুটি পরিবর্তন আনা হয়। রোহিত শর্মার পরিবর্তে সিরিজে প্রথমবারের মতো চান্স পেয়েছেন ইশান কিশান। এছাড়া দীপক চাহারের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব।
খেলায় পঞ্চম ওভারে নিজের প্রথম বলে শেখর ধাওয়ানকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আগের দুই ম্যাচে জয়ের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর মাঠে আসেন ভারতের ব্যাটিং জিনিয়াস বিরাট কোহলি। বিরাট আর কিশানের এই জুটির সামনে অসহায় হয়ে পড়েন বাংলাদেশের বোলাররা। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো ভারতকে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এই জুটি। উইকেটের একপাশে তাণ্ডব চালানো শুরু করেন ইশান। অন্যপ্রান্ত সামলে রেখে ইশানকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি।
মাত্র ১২৬ বলে ২০০ রান করে রেকর্ড বইয়ের পাতা উলটপালট করে ফেলেন ইশান। সবচেয়ে কম বয়সে এবং দ্রুততম সময়ে ডাবল হান্ড্রেড গড়ার কীর্তি গড়েন তিনি। অন্যদিকে, ২৬ ওভারেই এদিন স্কোরকার্ডে ২০০ রান তোলে ভারত। অপরপ্রান্তে ইশানের তাণ্ডবের মাঝেই মারতে শুরু করেন ভিরাট কোহলি। ১৩১ বলে ২১০ রান করে ইশান কিশান আউট হলেও অপরপ্রান্তে নিজের ৭২তম শতকের দেখা পান 'কিং কোহলি' খ্যাত বিরাট কোহলি। কিন্তু কিশানের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ইনিংস বড় করতে পারেননি কোহলি। ১১৩ রানেই বিদায় নেন তিনি। তার আগে লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ারও নিজের জাত চেনানোর আগেই সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ও অক্ষর পাটেলের জুটি ভারতের রানের চাকা সচল রাখেন। ৪৭ ওভারে পাটেলের বিদায়ের সময় ভারতের দলীয় রান ৩৯০। এরপরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওয়াশিংটন। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ আরও এক উইকেট পেলেও ভারতের দলীয় রান দাঁড়ায় ৪০৯। এদিন, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন সাকিব, এবাদত এবং তাসকিন। তিন খেলোয়াড়ই ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মিরাজ এবং মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট পান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪১০ রান।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, এবাদত হোসেন।
ভারত একাদশ: লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, ইশান কিশান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, উমরান মালিক, মোহাম্মদ সিরাজ, অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব।