রমজানে পণ্য আমদানি
রিজার্ভ থেকে ডলার চাইল এফবিসিসিআই
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২২
রমজানের পণ্য আমদানিতে সুবিধার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেও ‘খেলাপি’র থেকে রেহাই চেয়েছেন তারা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজেদের এসব চাওয়ার কথা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৈঠকে শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও আরও অনেক পণ্য প্রয়োজন হয়। এজন্য আমদানি সহজ করার জন্য বলেছি। প্রয়োজনে রিজার্ভ থেকে এলসি খোলার জন্য সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি ও গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এসব কারণে ফ্যাক্টরি চালানো যাচ্ছে না। এলসি না খোলার কারণে কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। এজন্য ব্যবসার ওপর একটা প্রভাব পড়ছে। আর ব্যবসা করতে না পারলে ঋণের কিস্তি দেওয়া যাবে না। তাই ঋণ পরিশোধের সুবিধাটি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দেওয়া হোক।
জসিম উদ্দিন বলেন, আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের যে পার্থক্য রয়েছে তা এক রেট করার জন্য বলেছি। কারণ কাঁচামাল আমদানি করার জন্য একজন ব্যবসায়ীর খরচ পড়ে ১০৫ টাকা। কিন্তু পণ্য রপ্তানি করতে গেলে সেটা ১০১ টাকা হয়। এক্ষেত্রে একটা পার্থক্য থেকে যায়। তাই এটা এক রেট করার দাবি জানিয়েছি। এছাড়া ইডিএফ ফান্ডের ঋণের সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোভিডের চেয়ে খারাপ অবস্থা। তাই আমরা এসব সুবিধা চেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা সবগুলো বিষয় পর্যালোচনা করবে।
তিনি বলেন, ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপিতে পরিণত হবে। এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।