সবজির বাজার স্থিতিশীল, দাম বেড়েছে পেঁয়াজের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই ডিসেম্বর ২০২২
ফের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কমেছে আলুর দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে শীতকালীন সবজির দাম।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। বেগুন ৮০-৯০ টাকা ও টমেটো ১০০-১২০ টাকা। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০।
বাজারে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতো। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। সাত দিন আগেও কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মত দামে স্বস্তি দিচ্ছে ডিম, মুরগি। বাজারে এখন অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মুরগির দাম অনেক কম। ব্রয়লার ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি। মাছের দামে হেরফের নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ৮৫০-৯০০ টাকা।
বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল চিনির কেজি ১৪০ টাকা।
সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।
এদিকে, বাজারে চালের সংকট না থাকলেও বেড়েছে সুগন্ধি চালের দাম। যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়েছে। পাইকারি বাজারে সুগন্ধি চালের বস্তাপ্রতি ৫০০ টাকার বেশি বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।