স্ত্রীর সহমতে নগ্ন ভিডিও নেটমাধ্যমে ছেড়ে গ্রাহক ধরতেন স্বামী!
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
স্ত্রী
পরপুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, আর সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন
স্বামী। শুধু তাই নয়, সেই দৃশ্যের ভিডিও এবং ছবিও তুলছেন তিনি। সেই খবর পেয়েই বুধবার
ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে চমকে ওঠে পুলিশ।
ঘটনাটি
ঘটে ভারতের বেঙ্গালুরুর সিঙ্গাসান্দ্রা এলাকায়।
ভারতের
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘর থেকে প্রচুর পর্নো ভিডিও, ফ্যান্টাসি
মাস্ক, বেশ কয়েকটি মোবাইল, গ্রাহকদের নম্বরসহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার
করা হয় বিনয় কুমার ও তার স্ত্রীকে। বিনয়ের একটি মুরগির খামার রয়েছে। তার স্ত্রী একটি
বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।
পুলিশের
কাছে বিনয় দাবি করেন, জীবনকে অন্য রকমভাবে উপভোগ করতেই নাকি তিনি এবং তার স্ত্রী সিদ্ধান্ত
নেন পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটানোর। তারপর স্ত্রীর সহমতেই তার নগ্ন এবং অর্ধনগ্ন ছবি
নেটমাধ্যমে ছাড়া শুরু করেন বিনয়। টুইটারে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ‘গ্রাহক চাই’
বিজ্ঞাপন দেন তিনি। সেখানে স্ত্রীর একের পর এক লাস্যময়ী এবং নগ্ন ছবি পোস্ট করা শুরু
করেন।
টুইটার
অ্যাকাউন্টে বর্ণনা দিয়ে বিনয় লেখেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী। বেঙ্গুলুরুতে থাকি। কেউ
যদি আমার স্ত্রীর প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করুন।’
শুধু ছবিই নয়, ভিডিও শেয়ার করে গ্রাহক টানার চেষ্টাও করতেন তিনি।
সেই
বিজ্ঞাপন দেখে বিনয়ের বাড়িতে একের পর এক গ্রাহক আসতে শুরু করেন। তার পরই শুরু হতো
‘শুটিং’। স্ত্রীর সঙ্গে সেই গ্রাহক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন।
আর সেই ভিডিও করতেন বিনয়। তার পর সেগুলো নেটমাধ্যমে ছাড়তেন। এই পর্ব চলার সময় বিনয়ের
স্ত্রী, সেই গ্রাহক এবং বিনয় রঙিন মুখোশ পরে নিতেন।
পুলিশের
কাছে বিনয় আরও দাবি করেছেন, তাদের মাথায় এই পরিকল্পনা আসে পর্ন ছবি এবং নানা রকম পর্ন
ভিডিও দেখে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এক টুইটার গ্রাহক বিনয়ের করা টুইট বেঙ্গালুরুর পুলিশ
কমিশনারকে ট্যাগ করার পর। তার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর পুলিশ
কমিশনার মহাদেব জোশীর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযুক্তের টেলিগ্রাম কথোপকথনের ওপর
নজরদারি শুরু হয়। সেখান থেকেই বিনয়ের বাড়ির ঠিকানা হাতে আসে পুলিশের। তার পরই অভিযান
চালিয়ে বিনয় এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওআ/