শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় পদক ও সম্মাননা পেলেন বসুন্ধরা গ্রুপ


নিজস্ব প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

সম্মাননা পাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে করোনা মহামারীকালে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘মানবাধিকার পদক ও সম্মাননা’ পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। ৭৫তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ও ৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ (বিএইচআরবি)-এর উদ্যোগে আরো ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। 


বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ার‍ম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এর পক্ষে পদক ও সম্মাননা গ্রহণ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।


ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান মহোদয়ের পক্ষ থেকে আজকের এই পদক ও সম্মাননা গ্রহণ করলাম। বসুন্ধরা গ্রুপ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে কাজ করে সেগুলোর অধিকাংশের খবর আমরা রাখি না। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় মানবতার জন্য, দেশের জন্য যে অবদান রাখছেন তা বলতে গেলে কমপক্ষে এক ঘন্টা সময় লাগবে। শুধু এইটুকু বলি বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান হচ্ছে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে। তিনি প্রকৃত অর্থেই দেশ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। বসুন্ধরার মতো যদি দেশের অন্যান্য শিল্প গ্রুপগুলোও মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে তাহলে এই দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে আলোকিত দেশ হবে।


পদক ও সম্মাননা প্রদান শেষে “রক্তস্নাত বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত মানবাধিকারের এগিয়ে চলার পাঁচ দশক” শীর্ষক এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাউথ এশিয়ান ফ্র্যাটার্নিটি (সাফ), বাংলাদেশের সভাপতি ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।


এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আলোকিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া আজকের এই পদক ও সম্মাননা দেয়া প্রশংসার। আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে এই আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আজকে পদক ও সম্মাননা নিলেন সবাই দেশের আলোকিত এবং সম্মানি মানুষ। এই মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো আমাদেরও দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।


বিএইচআরবি সভাপতি সাবেক বিচারপতি আবু বকর সিদ্দীকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, মানবাধিকার পদক ও সম্মাননা স্মারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দৈনিক প্রথম আলো, বেক্সিমকো ফার্মা এবং জেএমআই গ্রুপ-কে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ ক্যাটাগরিতে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, হোটেলস্ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আমিনুর রহমান, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী এবং কন্ঠশিল্পী ও সমাজকর্মী তাসরিফ খান-কে ‘ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে মানবাধিকার পদক ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।


বিএইচআরবি প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান জানান, “বিএইচআরবি পদক ও সম্মাননা প্রদানের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ড ‘ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে এবং ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ ক্যাটাগরিতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সম্মাননা দেয়ার ক্ষেত্রে করোনাকালে তাঁদের কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে বিবেচিত হয়েছে।”


উল্লেখ্য, ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ (বিএইচআরবি) জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের আলোকে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের অসহায়-অবহেলিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত এবং অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম যেমন: আইনগত সহায়তা, সালিশী কার্যক্রম আইন বিষয়ক ও সামাজিক সচেতনতামূলক সৃজনশীল কার্যক্রম, দেশের আইন শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত পরিস্থিতির রিপোর্ট সংগ্রহ ও প্রকাশসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এডভোকেসি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণসহ নিয়মিতভাবে নানা কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে বিএইচআরবি।

শিশু নির্যাতন ও অপব্যবহারে শামসুজ্জামান গ্রেফতার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

ফাইল ছবি

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে শিশু নির্যাতন ও শিশুকে অপব্যবহার করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


শনিবার (১ এপ্রিল)মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হচ্ছে যে, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু নিপীড়ন ও শোষণের জন্য।


ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হ‌য়, কাউকে এসব প্রতিবেদন লেখার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। ওই সাংবাদিক ৯ বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়েছিলেন এবং নিজের ভাষ্য ওই শিশুকে দিয়ে বলিয়েছেন।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি অবশ্যই চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়েটেশন। দ্বিতীয়ত, মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের কার্যকলাপ অবশ্যই অপরাধযোগ্য শাস্তি।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাকপ্রকাশে স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা সৎ সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

প্রথম আলোর ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিক হয়রানি মেলানো যাবে না: তথ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রথম আলোর ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিক হয়রানি মেলানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো যে নিউজ ছাপিয়েছে তা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে‌ ষড়যন্ত্র। সরাসরি অপরাধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে সাংবাদিকদের হয়রানির অন্য কোনো ঘটনা মেলানোর সুযোগ নেই।


শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাআস ইউনিটির ইফতার মাহফাইল অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 


তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার করে অনেক সাংবাদিক হয়রানি হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা খুব সচেতন।  কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমাদের নজর আছে।


বাংলাদেশে সিকিউরিটি আইন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটির আদলে আইন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ আইনের বিধান আপডেট করেছে। তাই যারা (বিদেশি) এ আইন‌ নিয়ে সমালোচনা করছে, তাদের উচিত নিজের দেশের দিকে তাকিয়ে সমালোচনা করা।

জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: মন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। 


শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে পিরোজপুরের হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।


এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটা মা ইলিশ ছয় লক্ষাধিক ডিম দেয়। কিছু দুর্বৃত্ত বালু উত্তোলন করতে গিয়ে ইলিশের প্রজননস্থলের পরিবেশ নষ্ট করে। নদী দূষণ করে ইলিশের ডিম ও পোনা নষ্ট করে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে যত্রতত্র মাছ আহরণ করে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন করে। একটা মা ইলিশ ধরা মানে ছয় লাখ ডিম নষ্ট করা। জাটকা ধরা মানে ছোট ইলিশ বড় হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া। যারা জাটকা ধরছে, এ মাছ বড় হলে তারাই ধরবে, বড় মাছ বিক্রি করে তারাই লাভবান হবেন। দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খেতে পারবে।


তিনি বলেন, একটা সময় দেশে মাছের আকাল ছিল। বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ মাছের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ইলিশের উৎপাদন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিশ্বের মোট ইলিশের শতকরা ৮০ ভাগ শুধু বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ২০০৮-০৯ সালে দেশে ইলিশের মোট উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং তাঁর সরকারের অবদানের কারণে ইলিশের উৎপাদন অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।


মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি ঘরে সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছে দেওয়া এবং উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে দেশের বাইরে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। তাই মৎস্যজীবীদের কাছে আহ্বান, জাটকা যাতে কেউ ধরতে না পারে।


মন্ত্রী আরো জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রায় স্মার্ট মৎস্য খাতের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির অনেক মাছ ফিরিয়ে এনে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের পোনা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে অঞ্চলে যে মাছ নেই, সে অঞ্চলে সে মাছের পোনা ছাড়া হচ্ছে। এভাবে ভাতে-মাছে বাঙালির বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি আবার ফিরিয়ে আনা হবে।


শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ার ফলে খাবারের যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মাছ চাষের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। মাছ উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন ও রপ্তানির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। অপরদিকে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।


মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, জিআই সনদপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ইলিশ বিলুপ্ত হলে বাঙালির গর্বের ইলিশের জিআই সনদ থাকবে না।

সেজন্য কোনোভাবেই মা ইলিশ ধরা যাবেনা, জাটকা ইলিশ নিধন করা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ দেওয়া হচ্ছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইলিশ বড় হতে দিতে হবে। বড় ইলিশ মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবে।


এ সময় তিনি আরো বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ না করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। যারাই জাটকা নিধনের অবৈধ কাজে জড়িত থাকবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের মামলা ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন এস এম এনামুল হাসান, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পিরোজপুরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে জাটকা রক্ষায়  জনসচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিসহ কয়েকহাজার জেলে ও মৎস্যজীবীদের সাথে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চ ঘাট থেকে কচা নদীতে বর্ণাঢ্য নৌর‍্যালিতে অংশ নেন মন্ত্রী।


উল্লেখ্য, 'করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’-এ প্রতিপাদ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩। চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

এবারের ফিতরা কত, জানা যাবে কাল


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

ফাইল ছবি

চলতি বছরে সদাকাতুল ফিতর (ফিতরা) কত তা আগামীকাল রবিবার (২ এপ্রিল) জানা যাবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফিতরা নির্ধারণে দেশের বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের নিয়ে কাল বৈঠকে বসবেন জাতীয় ফিতরা কমিটির সদস্যরা। সেখানে এবারের ফিতরা নির্ধারণ করা হবে।


শনিবার (২ এপ্রিল)  এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।  


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রবিবার বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ফাউন্ডেশনের উলামা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সুবিধার্থে তা ঘোষণা করা হবে।’

ফিতরা নির্ধারণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে দেশের বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি রবিবার বৈঠকে বসবে।


গেল বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার ছিল জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা। 

ক্ষতিপূরণ পেল ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রন্থ 'বাংলার সমৃদ্ধি'


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

বাংলার সমৃদ্ধি

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্ধরে ক্ষতিগ্রন্থ  'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজটি  ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে আলভিয়া কদরের ইনার অ্যাংকরেজে অবস্থানকালে একটি ক্ষেপনাস্ত্র বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আঘাত হানে। এতে জাহাজের ৩য় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরন করেন এবং জাহাজের ব্রিজসহ সকল নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 


জাহাজটি ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় জাহাজের হাল বীমাকারী রাষ্ট্রায়াত্ত: বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (সারীক)-কে অবহিত করে ফরমাণ Notice of Abandon (পরিত্যাক্ত) প্রদান করা হয় এবং Constructive Total Loss (CTL) উপস্থাপন করা হয়। 


নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসি'র সার্বিক প্রচেষ্টায়  গত ০৯-০৩-২০১২ খ্রি. তারিখে জাহাজে থাকা নাবিকদের এবং ১৪-০৩-২০২২ খ্রি. তারিখে জনাব হাদিসুর রহমান, ৩য় প্রকৌশলীর মৃতদেহ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো হয়। 


গত ১৬-০৬-2022  তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এম.পি. এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ নাবিক/তাদের পরিবারের মাঝে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার বীমানাবির ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। বীমা চুক্তির  Bloking & Trapping ক্লজ অনুযায়ী 28/02/201৩খ্রি. তারিখ CTL সাইকেল সমাপ্ত হওয়ার পর ধীমাকারী ও পুনঃবীমাকারী দাবীর অংক মার্কিন র ৯২.৪৮ মিলিয়ন দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় ।  দাবীকৃত ২২.৪ মিলিয়ন হতে বীমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বীমাকারী ধরণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক বিএসসি-কে ১৪.৩৭ মিলিয়ন পরিশোধ করা হয়েছে।


যা গত ২১-০৩-২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বিএসসি'র স্থানীয় ব্যাংকে গৃহীত হয়। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন হতে ১৪.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাপ্তির মাধ্যমে বিএসসি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ "বাংলানা সমৃদ্ধি" জাহাজের বর্তমান বাজার মূল্যের সমপরিমান অর্থ আদায় করতে সক্ষম হয়।