হিজাব পরা ছাত্রীদের নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী ঊষসী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


হিজাব পরা ছাত্রীদের নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী ঊষসী

হিজাব পরা নিয়ে ভারতের কর্নাটকে চলছে তীব্র বিতর্ক। হিজাব পরার কারণে সেখানকার একটি কলেজে ছাত্রীদের প্রবেশ করতে নেওয়া হয়নি। তবে সেই হিজাবেরই গুণগান গাইলেন টালিউড অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী! জানালেন হিজার পরে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। তাই স্বেচ্ছায় পরেন হিজাব।

তিনি আনন্দবাজারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি নিজেই কোন গোড়ামিতে বিশ্বাস করি না। হিজাব যিনি পড়তে চান, তিনি পরবেন। আর যিনি পরতে চান না তিনি পরবেন না। এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি চলবে না। আমি নিজেই হিজাব পরি কারণ মাঝে মাঝে আমার ঘরের বাইরে যেতে হয়, তাতে হিজাব ব্যবহার করে ভক্তদের চোখের আড়াল হতে পারি। এটা কি তবে অন্যায় হয়ে যাবে। আমার ধর্মে তো কোন হিজাব নেই।

তিনি আরও বলেন, ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরার কারণে ক্লাসে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রীদের পক্ষে আমি। তারা তাদের মতো করে চলবে, যা ইচ্চা তাই করবে। কারণ তারাও আমার মতো ভারতীয় নাগরিক।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় পরপর কয়েকটি কলেজে নিষিদ্ধ হয়েছে হিজাব। একপর্যায়ে সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়েছিল, প্রি ইউনির্ভাসিটির আওতায় যে সরকারি কলেজগুলো রয়েছে সেখানে কলেজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে পোশাক নির্দিষ্ট করেছে সেটাই থাকবে। আর যেখানে এই পোশাক বিধি নেই, সেখানে শিক্ষার্থীরা এমন পোশাক পরতে পারেন যাতে করে সম্প্রীতি, সমতা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে।

সরকারি নির্দেশের পরও বিতর্ক থামেনি। শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় শিক্ষার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

এমন পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের ভাষ্য, হাইকোর্টে হিজাব মামলার শুনানি রয়েছে আগামী মঙ্গলবার। আদালতের নির্দেশের আগে শিক্ষার্থীদের রাজ্য সরকারের পোশাক নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

হিজাব পরা নিয়ে কলেজের বাইরে ছাত্রীদের গত কয়েক দিনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর কর্ণাটকের উদুপি জেলার কুন্দপুরের সরকারি জুনিয়র পিইউ কলেজ কর্তৃপক্ষ সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু হিজাব পরে আসায় তাদের আলাদা শ্রেণিকক্ষে বসার নির্দেশ দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভিন্ন শ্রেণিকক্ষে বসানো ছাত্রীদের পাঠদানও করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে কালাভারা ভারাদারাজ এম শেঠি সরকারি কলেজের হিজাব পরা ছাত্রীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওআ/