মুন্সীগঞ্জে ৮৭ স্কুলের মধ্যে ৭৪ টিতে নেই শহীদ মিনার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও তার মধ্যে ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজও নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার। প্রতি বছর কলাগাছ, বাঁশের কঞ্চি ও সাদা কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ওই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালন করে আসছে।
এতে করে শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানাতে পারছেনা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য দাবি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দের।
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮৭টি। এর মধ্যে ১৩ নং সরকারি টেঙ্গার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৭৮ নং মনার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৭ নং ভবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ নং মধ্য বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪ নং পুরান বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৫ নং ইমামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৭২নং নতুন চরচাষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯নং দত্তেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১নং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১১ নং তেতৈতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী ৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিনেও কোন শহীদ মিনার নির্মাণ হয়’নি।
৫৬নং ভিটিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না, জোবায়ের ও সুমাইয়া জানায়, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায়, আমরা সবাই মিলে প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানাইয়া শ্রদ্ধা জানাই। আমরা চাই সরকার যেন প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়।
১০নং আড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসা. রীনা বেগম জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিনেও শহীদ মিনার নির্মিত হয় নি। ফলে আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি না। এব্যাপারে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মমতাজ বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ১৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার রয়েছে বাকী ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও শহীদ মিনার নির্মান করা হয়নি। এতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জনবানীকে জানান, এই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে আলাপ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আরএক্স/