নকশিকাঁথাশিল্পে জাতীয় পুরস্কার পেলেন সাতক্ষীরার আমির-উন-নাগার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিল্পী আমির-উন-নাগার সম্মানী এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। এতে পুরস্কৃত হয়েছেন আলিপুর গ্রামের মৃত আবদুস সালামের স্ত্রী আমির-উন-নাগার।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনার সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ জাদুঘরের মহাপরিচালক এবং সোনারগাঁ জাদুঘরের মহাপরিচালক একেএম রেজাউল করিম ও সাতক্ষীরা শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আমজাদ হোসেন উপস্থিত থেকে পুরস্কার তুলে দেন।
আমির-উন-নাগার ১০ আগস্ট ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দ আলীপুর দিঘীর পাড় এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৫ম শ্রেণি পাশ হলেও কর্মদক্ষতায় অতুলনীয়। বর্তমানে তার পরিবারের ৫জন সদস্য। তিনি ৩ ছেলে, ১ মেয়ের জননী। তার বড় ছেলে আলমগীর হোসেন সরকারের সমরাস্ত্র কারখানার ইঞ্জিনিয়ার, মেঝো ছেলে আনোয়ার হোসেন ঢাকা ওয়াসার প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার, ছোট ছেলে জাকির হোসেন ব্র্যাক ব্যাংকের একজন অফিসার, মেয়ে নাজমুন নাহার ইঞ্জিনিয়ার এবং তার বড় নাতি মাসুদ কামাল একজন ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁর স্বামী ইন্তেকাল করেন।
তিনি ছোট থেকেই নকশিকাঁথা তৈরির কাজ শুরু করেন। পারিবারিকভাবে মায়ের নিকট থেকে কাজ দেখে শেখা শুরু তার। পরবর্তীতে স্বামীর প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশাত্নবোধের টানে কাঁথাশিল্প তৈরি করেন। এরপর নিজের অভিজ্ঞতায় এবং বংশ পরম্পরাগত মননশীলতায় কাজ করে আসছেন তিনি। বলতে গেলে প্রথমে শখের বসে পরে মনের আনন্দেই কাজ করতেন।
এর আগে তিনি সাতক্ষীরায় স্থানীয়ভাবে ৩টি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর তৈরি নকশিকাঁথায় বাংলাদেশের মানচিত্র শীর্ষক কাঁথাটি সোনারগাঁও জাদুঘরে প্রদর্শিত রয়েছে।
এছাড়া তাঁর নিকট অপর একটি মানচিত্র কাঁথা, আমাদের গ্রামখানি ছবির মতনসহ বেশকিছু নকশিকাঁথা সংরক্ষিত রয়েছে। নকশিকাঁথাশিল্পে তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন শিল্পী। তাঁর বয়স ৭৮ বছর। এ বয়সেও তিনি কাঁথা তৈরির কাজ করেন।
তার হাতের নকিশাকাঁথা ৪০ বছর আগে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্পে জমা দেওয়া হয়। যা দেশ ও দেশের বাহিরের বিভিন্ন অঙ্গনে অনেক পুরস্কার বয়ে এনেছে।