আতিকা রহমানের কাব্যগ্রন্থ সংলাপহীন শুন্যতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৪ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সংলাপহীন শুন্যতা কাব্যগ্রন্থে বেশিরভাগ কবিতাগুলো লেখা হয়েছে প্রেম, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, নিস্তবদ্ধতা, একাকিত্ব, বিষন্নতা ও প্রকৃতি নিয়ে। অনেক কবিতায় প্রকৃতি ও প্রেমের দারুণ রসায়ন প্রকাশ পেয়েছে। কবি কখনো যেন প্রকৃতির প্রেমে পরেছে, কখনোবা মানুষের প্রেমে পরে প্রকৃতির নানা উপাদানকে নিয়ে একসুতোয় গাঁথতে চেয়েছেন মনের কথামালা। রচনা করেছেন কবিতা। বেশ কয়েকটি কবিতা যেমন রয়েছে প্রেমের তেমনি তাতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ঘৃণার অভিব্যক্তি।
লেখক আতিকা রহমান বলেন, তার বইয়ের কবিতা ভালোবাসা পাওয়া না পাওয়ার অনুভুতি আছে। অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা ও শূণ্যতায় প্রশান্তি খুঁজে ফিরেছে মন।কবিতাগুলো প্রেম ও ঘৃণার বইয়ে কবিতাগুলো মূলত প্রেমের। যে প্রেমে স্বপ্ন রাজ্যে ডুব দিয়ে কখনো উচাটন মন ইচ্ছে ঘুড়ির মতো উড়েছে। কখনোবা ভালোবাসার কাঁটাতারে বিঁধে অকস্মাৎ শুণ্যে ভেসেছে মন। আবার কবিতার লাইনে ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রকাশ পেয়েছে। বনলতা প্রেম ছায়াবাজির কারসাজিতে ফিনিক্স পাখির মতো কূল হারিয়েছে। কৃঞ্চগহ্বরে ডুবে গেছে। আমার কবিতায় প্রকটভাবে উঠেছে যুগ্মতার ভাষা।
এসময় তিনি বলেন, বেশ কিছু কবিতা রচিত হয়েছে নিসর্গ, নিস্তব্ধতা ও নি:সঙ্গতা নিয়ে। দুর্নিবার আকাঙ্খা নিয়ে কবিতার পঙতি প্লাবনের জলধারা সঞ্চয় করে ছুটে গিয়েছে পলিজ মোহনায়। অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা ও শূণ্যতায় প্রশান্তি খুঁজে ফিরেছে। বইয়ের উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো, সংলাপহীন শুন্যতা, বিনিদ্র রাতে, পোড়ামন, কৃঞ্চবিল, জন্ম মৃত্যু, কুয়াশার জাল, লাল সূর্যমুখী , মাতাল হরিণ, যুগ্মতার ভাষা, স্বপ্নজাল, ধুসর বসন্ত, বনলতার মনফুল।
লেখক পরিচিতি : আতিকা রহমানের জন্ম ৪ আগস্ট ১৯৮৯ সালে, নাটোর জেলায়:-
অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন। এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছে। সাংবাদিকতার জন্য বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। কবিতা লেখার পাশাপাশি গল্প ও সমসাময়িক বিষয় প্রবন্ধ লিখেন। একজন শিশু অধিকারকর্মী। কাজ করেন নারী ও শিশু অধিকার, তৃতীয় লিঙ্গ, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য। লেখালেখির শুরুটা শৈশবকাল থেকে। সংস্কৃতি জগতে রয়েছে বিচরন। লেখক হিসেবে কাজ করেছেন জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ১২৩ সিসিমপুরে।
আরএক্স/