রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস আজ


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ৬ই আগস্ট ২০২৫


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস আজ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজ ২২ শ্রাবণ। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৪১ সালের এই দিনে, বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে শ্রাবণের বাদলঝরা দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক ও চিত্রকলা—সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় অবদান। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। তার সৃষ্টিকর্ম আজও বাঙালির জীবনকে সমৃদ্ধ করে, বোধ ও অনুভূতিকে আলোকিত করে।


বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অপরিসীম। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান, প্রবন্ধ ও নাটক—সব কিছুর মধ্য দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন নতুন ধারা, নতুন রূপ। মানুষের মুক্তির দর্শনই ছিল তার দর্শন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, কথাশিল্পী, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও ভাষাবিদ।


১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা সারদাসুন্দরী দেবী। মাত্র আট বছর বয়সে তার সাহিত্যচর্চার শুরু। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা অভিলাষ প্রকাশিত হয়। এরপর বিরামহীন সৃজনযাত্রায় তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।


তার প্রকাশিত কবিতার বই ৫২টি, উপন্যাস ১৩টি, ছোটগল্পের বই ৯৫টি, প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ ৩৬টি এবং নাটকের বই ৩৮টি। মৃত্যুর পর প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলির ৩৬ খণ্ড এবং রবীন্দ্র চিঠিপত্রর ১৯ খণ্ড বাংলা সাহিত্যকে অমূল্য ভাণ্ডার উপহার দিয়েছে।


‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। দেশজ শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সাহিত্য, সংগীত, সংস্কৃতি, শিক্ষায় তার অবদান চিরকাল বাঙালির অহংকার হয়ে থাকবে।