হিজাব বা জিনস পরার সিদ্ধান্ত নেওয়া নারীর অধিকার: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
হিজাব
পরা নিয়ে ভারতের কর্নাটকে চলছে তীব্র বিতর্ক। হিজাব পরার কারণে সেখানকার একটি কলেজে
ছাত্রীদের প্রবেশ করতে নেওয়া হয়নি।
এই
বিতর্কে সরব ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বও। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও
খুললেন মুখ। বিক্ষোভরত মুসলিম ছাত্রীদের সমর্থন জানিয়ে করেছেন টুইট।
টুইটে
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বিকিনি হোক, ঘোমটা, জিনস বা হিজাব হোক। তিনি কী পরতে চান, তার সিদ্ধান্ত
নেওয়ার অধিকার একজন নারীর আছে। ভারতীয় সংবিধানের মাধ্যমে এই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
নারীদের হয়রানি বন্ধ করুন।’
এনডিটিভি
জানায়, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান ইস্যু এই
নারী অধিকার। নারীর ক্ষমতায়ন। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা
গান্ধী।
উল্লেখ্য,
গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে
বাধা দেওয়া হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় পরপর কয়েকটি কলেজে নিষিদ্ধ হয়েছে হিজাব। একপর্যায়ে
সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়েছিল, প্রি ইউনির্ভাসিটির আওতায় যে সরকারি কলেজগুলো রয়েছে
সেখানে কলেজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে পোশাক নির্দিষ্ট করেছে সেটাই থাকবে। আর যেখানে এই
পোশাক বিধি নেই, সেখানে শিক্ষার্থীরা এমন পোশাক পরতে পারেন যাতে করে সম্প্রীতি, সমতা
ও আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে।
সরকারি
নির্দেশের পরও বিতর্ক থামেনি। শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় শিক্ষার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার
হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
এমন
পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের ভাষ্য, হাইকোর্টে হিজাব মামলার
শুনানি রয়েছে আগামী মঙ্গলবার। আদালতের নির্দেশের আগে শিক্ষার্থীদের রাজ্য সরকারের পোশাক
নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
হিজাব
পরা নিয়ে কলেজের বাইরে ছাত্রীদের গত কয়েক দিনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর কর্ণাটকের উদুপি
জেলার কুন্দপুরের সরকারি জুনিয়র পিইউ কলেজ কর্তৃপক্ষ সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের
প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু হিজাব পরে আসায় তাদের আলাদা শ্রেণিকক্ষে বসার নির্দেশ
দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভিন্ন শ্রেণিকক্ষে বসানো ছাত্রীদের পাঠদানও করা হয়নি বলে
অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে
কালাভারা ভারাদারাজ এম শেঠি সরকারি কলেজের হিজাব পরা ছাত্রীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া
হয়েছে।
ওআ/