খালেদা জিয়াকে পদক দিয়ে হাস্যকর পাত্র করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মাদার অব ডেমোক্রেসি পদকটি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাস্যকর পাত্র করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি পদক দেওয়া হলো, আর বিএনপি জানলো সাড়ে তিন বছর পর। পুরো বিষয়টি হাস্যকর। এখানে খালেদা জিয়াকে হাসির পাত্র করা হয়েছে।
বুধবার
(৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকের
পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি
বলেন, খালেদা জিয়াকে আমরা দেখলাম কানাডার একটি সংগঠন, যার নাম কেউ সহজে জানে না, যার
জন্মও খুব বেশিদিন আগে না, তারা তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’
বলে সনদ দিয়েছে। এটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু
করেছেন। সেটি দিয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে, সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি হঠাৎ জানলো খালেদা
জিয়াকে এরকম একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর। যেভাবে
সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমের সামনে এসে এ কথাগুলো বললো, সেটা হাস্যকর।
বেগম খালেদা জিয়াকে একদম ‘লাফিং স্টক’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ড.
মাহমুদ বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন।
সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল, বিএনপি যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও
এরকম করতে পারে। সেখানে আবার একটি তথাকথিত হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি)
একটি সার্টিফিকেট কিনেছেন। বিএনপি একটা পদক কিনেছে, এটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে।
তথ্যমন্ত্রী
বলেন, বিএনপি যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল, স্বনামে-বেনামে, আমরা বলেছিলাম। গণমাধ্যমের
সামনে এটা বেশ কয়েক বার বলেছি। একটি ফার্মের সঙ্গে বিএনপি নিজের নামে চুক্তি করেছিল।
কিছু কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে আবার বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছিল। সেখানে একটা
চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হলো—যে প্রতিষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়াকে পদক
দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস। এটা বিএনপির পক্ষে
লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপির
পক্ষ থেকে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট নিয়েছেন,
সেটা আবার গণমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছেন।
তিনি
বলেন, ভারতের রাষ্ট্রদূত আজ এখানে এসেছিলেন। আমরা দ্বিপক্ষীয় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছি। আমাদের অনেকগুলো চ্যানেল ত্রিপুরায় দেখা যায়। সেখানে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তেমন
একটা প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু পশ্চিম বাংলায় এগুলো দেখা যায় না। সেখানের ব্রডকাস্টাররা
অনেক টাকা চায়। এটা কীভাবে সহজ করা যায় সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ওআ/