ভালবাসা দিবসে অসুস্থ শিশুর পাশে দাড়ালো এসপি ও সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩৫ অপরাহ্ন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিশ্ব ভালবাসা দিবসে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া গ্রামের দিনমুজুর মঞ্জুর রহমানের মেয়ে মুসলিমার মাথায় চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন দৈনিক জনবাণী ও দৈনিক আলোচিত জামালপুর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুদুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদের পক্ষ থেকে ৫ হাজার ও সাংবাদিক মাসুদুর রহমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা মোট ১০ হাজার টাকা শিশুর বাড়িতে গিয়ে পিতা মঞ্জুর রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, কালবেলা সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন, করতোয়া ও ভোরের ডাকের প্রতিনিধি তৌকির আহমেদ হাসু, ফালগুনী ও সৃষ্টি টিভির প্রতিনিধি সাইদ মাহমুদ, পল্লীকন্ঠের সোহেল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজের পক্ষ থেকে আরো ১০০০ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
শিশুটির মা জানান, জন্মের পর থেকে শিশুটির মাথা বড় হতে থাকলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেও আর্থিক অভাব অনটনে বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরে আসেন। কিছুদিন পর জামালপুর শাহজালাল হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে মাথার সিটিস্ক্যান করানো হয়। পরে চিকিৎসক পরামর্শ দেন যে ওই শিশুটির মাথা অপারেশন করে মাথা থেকে পানি বের করলে স্বাভাবিক হতে পারে। উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে এমন পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেননি তার দরিদ্র বাবা-মা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি কনজিনিটাল হাইডোকেফালাস রোগে আক্রান্ত। তাকে এ রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে হবে। এতে প্রয়োজন হতে পারে ৫/৬ লাখ টাকা।
শিশুটির বাবা মঞ্জুর রহমান জানান, দিনমুজুরির কাজ করে আয় দিয়ে চলে তাদের ৭ সদস্যর সংসার। মেয়ের চিকিৎসার জন্য যা সম্বল ছিল এরই মধ্যে তাও শেষ হয়ে গেছে। মেয়েটির মাথা দিন দিন বড় হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিক মাসুদুর রহমান বলেন, চিকিৎসার অভাবে পড়ে থাকা শিশুটির সংবাদ পেয়ে আমি নিজে শিশুটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। জামালপুরের মানবিক পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদের পক্ষ থেকে ৫০০০ এবং আমার পক্ষ থেকে ৫০০০ টাকা মোট ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করে এসেছি। শিশুটির পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করব।