বিদেশিদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাতিল করল ভারত
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বিদেশি
যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শর্ত শিথিল করেছে ভারত। নতুন নিয়ম অনুযায়ী,
দেশটিতে পৌঁছানোর পর বিদেশি নাগরিকদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
বৃহস্পতিবার
(১০ ফেব্রুয়ারি) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিধিনিষেধ শিথিলের এই নির্দেশনা জারি
করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে পৌঁছানোর পর ৭ দিন
কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বরং প্রত্যেক যাত্রীকে ১৪ দিন ‘সেলফ মনিটরিং’-এ
থাকতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কারও উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং কোয়ারেন্টাইনে
থাকতে হবে।
সেখানে
আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় পাওয়া নেগেটিভ সনদ আপলোড করতে হবে। পরীক্ষা করাতে হবে ভ্রমণের
আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। এর বিকল্প হিসেবে পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়ার সনদও আপলোড করা যাবে।
তবে এই সুবিধা শুধু সেসব দেশের যাত্রীরা পাবেন, যাদের টিকাদান কর্মসূচিতে ভারত সরকারের
স্বীকৃতি রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশ, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কাতার, অস্ট্রেলিয়াসহ
মোট ৮২টি দেশ রয়েছে।
ভারতীয়
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এয়ারলাইন্সগুলো শুধু সেসব যাত্রীকে প্লেনে ওঠাবে, যারা
ফরম পূরণ করেছে এবং করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ বা টিকাসনদ আপলোড করেছে। শুধু উপসর্গহীন
যাত্রীদের প্লেনে ওঠানো যাবে। সেক্ষেত্রে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের বিধি অবশ্যই
মেনে চলতে হবে।
গন্তব্যে
পৌঁছানোর পর যাত্রীদের বাড়তি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাদের মধ্যে
এলোমেলোভাবে নির্বাচিত ২ শতাংশ যাত্রীর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। কোনো উপসর্গ দেখা
যায় কিনা তার জন্য সব যাত্রীকে ১৪ দিন সতর্ক থাকতে হবে।
কারও
শরীরে উপসর্গ দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হবে এবং করোনা পরীক্ষা করা
হবে। পজিটিভ শনাক্ত হলে তার সংস্পর্শে আসা লোকদেরও খুঁজে বের করা হবে।
সমুদ্র
বা স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রবেশকারী বিদেশিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর থাকবে। তবে
সেক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধনের সুবিধা আপাতত নেই। এ কারণে বন্দরে থাকা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের
কাছে এসব তথ্য জমা দিতে হবে।
এর
আগে ওমিক্রনের তাণ্ডবে সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির মুখে গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে
ভারতে পৌঁছানোর পর বিদেশি যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছিল দিল্লি।
নতুন
বছরের শুরু থেকেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে বাড়ছিল সংক্রমণ। এ কারণে
যেসব দেশে ওমিক্রন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছিল তাদের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছিল
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেসব দেশ থেকে ভারতে পৌঁছানো যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনাও
জারি করা হয়েছিল।
ওআ/