ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ, না করতে নেই!
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন ভারতের রাজস্থানের এক সরকারি কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, সহাস্যে বললেন, ‘ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ। কেউ দিলে তা নিষেধ করতে নেই।’ রাজস্থান সরকার যখন দুর্নীতি দূর করার জন্য নানা রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন রাজ্যেরই এক সরকারি কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।
অনেক দিন ধরেই রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার কাছে খবর আসছিল জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন কর্মকর্তা থেকে কর্মচারীরা।
সেই খবর পেয়েই ওই অফিসে অভিযান চালান দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তারা। তখনই একটা বড় ঘুষচক্রের পর্দা ফাঁস করেন তারা। এক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক কর্মকর্তার নাম মমতা যাদব। হাতেনাতে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে সহাস্যেই তিনি বলেছেন, ‘ঘুষ মন্দিরের প্রসাদ।’
দুর্নীতিদমন শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জয়পুরের সিদ্ধার্থনগরের এক বাসিন্দা অভিযোগ জানান, তারা দুই বন্ধু জমির পাট্টা নেওয়ার জন্য জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বলা হয়, পাট্টা পেতে গেলে কর্মকর্তা মমতাকে ছ’লক্ষ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়র শ্যাম মালুকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বজরং সিংহের কাছে পৌঁছয়। তার পর থেকেই তিনি একটি দল গঠন করে নজরদারি চালাচ্ছিলেন।
পরিকল্পনা মতো জমির পাট্টা নিতে টাকা নিয়ে ওই অফিসে হাজির হয়েছিলেন অভিযোগকারী ব্যক্তি। তার সঙ্গে সাধারণ পোশাকে ছিলেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। তখন অফিসের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ইঞ্জিনিয়র মালু। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতেই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তারা। তাকে জেরা করে এর পর আরও তিন কর্মীকে ধরা হয়। সবশেষে গ্রেফতার করা হয় মমতাকে। ঘুষ নেওয়ার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনিও। মমতার ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তারা।
এসএ/