ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্রিজ থেকে চুরি হচ্ছে মাছ-মাংস


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্রিজ থেকে চুরি হচ্ছে মাছ-মাংস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্রিজ থেকে চুরি হচ্ছে মাছ-মাংস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দিনদুপুরে চুরি হয়েছে ফ্রিজে রাখা মাছ ও মাংস। দোকানের ১৩টি তালা ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার। নিরাপদ নয় পথও। প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা-পয়সা। চুরির তালিকায় আছে গরু।


গত দুই মাসে কমপক্ষে ৫০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি থেকে দোকানপাট—সর্বত্র চুরির হিড়িক। রেহাই পাননি সাংবাদিক। আতঙ্ক উপজেলাজুড়ে। দিনেও ঘরের দরজা খোলা রাখতে ভয়। মুহূর্তের জন্য কেউ ঘর খালি রাখতে চায় না।


জানা গেছে, একটি চক্র বেশ সক্রিয় উপজেলার সর্বত্র। বিশেষ করে বাড়ি ভাড়ার কথা বলে তারা হানা দিচ্ছে বাড়ি বাড়ি। এর বাইরেও গ্রিল ও তালা কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে।


বাড়ি ভাড়ার কথা বলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহানের পৌর এলাকার রাধানগরের বাসায় দিনের বেলায় চুরি হয়। এ ঘটনায় অবশ্য কয়েক ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ। 


উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয় সাংবাদিক এম এ জলিলের। রাধানগর এলাকায় প্রাইভেট পড়তে এসে নতুন একটি বাইসাইকেল খোয়ান শিক্ষার্থী মো. শাকিল। প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে কৃষকের গরুসহ অন্যান্য জিনিস। চলতি সপ্তাহে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতীয় নাগরিক স্বপন পালের মোবাইল ফোনসেট চুরি হয়।


উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনসুর মিশনের ভাই সোহাগ হাজারীর রাধানগরের বাড়িতে দিনদুপুরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে মাছ ও মাংস নিয়ে যায় চোর।


একের পর এক ঘটনায়ও পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।


স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানান, ঘটনার পর তারা কালো পতাকা উড়ানো এবং দোকান বন্ধ রাখার মতো কর্মসূচি দিতে চেয়েছিলেন। তবে একজন জনপ্রতিনিধির অনুরোধে সেই আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন। এখনো কোনো মালপত্র উদ্ধার না হওয়ার তারা আতঙ্কে আছেন।


আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, চুরির ঘটনা অনেক নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। একটি ঘটনায় চোরাই সোনাও উদ্ধার করা হয়েছে।