কীভাবে এল ভালোবাসা দিবস?
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ভালোবাসা শব্দটা
শুনতে সবার ভালো লাগে। তবে ভালোবাসার কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই,নেয় কোন রং,। ভালোবাসা
নিজ শব্দগুণেই চিরন্তন। ভালোবাসা ফুলের সৌন্দর্যের মতো, নিজ থেকেই ছড়ায় তার সৌরভ।
প্রতি বছর ১৪
ফেব্রুয়ারি নানান আয়োজনে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসা
দিবস উদযাপন করা নিয়ে বিতর্ক কম নয়। কিন্তু তারপরও বিশ্বজুড়ে তরুণদের মধ্যে এই দিবস
নিয়ে আগ্রহের কোনো কমতি নেই।
বিশেষ করে প্রেমিকযুগলদের
মধ্যে এই দিবস ঘিরে কাজ করে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রেম ও ভালোবাসার
এই উৎসবেরও বাণিজ্যিকীকরণের ছোঁয়া লাগায় প্রিয়জনের হাতে ফুল আর উপহার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে।
প্রেমের ঋতু
বসন্তের শুরুতেই ভালোবাসা দিবস হওয়ায় বাঙালিদের মধ্যে এই দিবসের আবেদন একটু বেশিই।
বসন্তের মাতাল সমীরণে প্রেমিক যুগল থেকে শুরু করে সবার অকারণের সুখে অলক্ষ্য রং মাখিয়ে
যায় এই দিনটি।
বসন্তের শুরুতে ভালোবাসার বিশেষ এই দিনটিকে একটি গণ্ডিতে আটকে না রেখে শুধু প্রেমিকযুগলই নন ছোট-বড় সবাই বাসন্তী, লাল, সবুজ কিংবা হলুদ রঙের বসনে নিজেদের রাঙিয়ে মেতে উঠতে পারেন ভালোবাসার উৎসবে।
দুনিয়াজুড়ে
কত আনুষ্ঠানিকতাই না হয় ভালোবাসা দিবসে। কিন্তু এই দিনটি কীভাবে এলো?
প্রায় দুই হাজার
বছর আগে তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয়। ভালোবাসা দিবসের নামকরণ
‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হওয়ার ক্ষেত্রে রোমানদের ভূমিকা রয়েছে।
২৭০ সালের কোনো একসময় রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস সাম্রাজ্যের তরুণদের বিয়ে না করার
নির্দেশ দেন। কিন্তু সম্রাটের আদেশ অমান্য করে ভালোবাসার বাণী প্রচার শুরু করেন ভ্যালেন্টাইন
নামে এক সাধু। সম্রাটের নির্দেশ অমান্যের শাস্তিস্বরূপ সাধু ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড
দেওয়া হয়।
পঞ্চম শতাব্দীর
মাঝামাঝি, পোপ গেলাসিয়াস রোমানদের বর্বর উৎসবের ইতি টানা এবং সাধু ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে
স্মরণীয় করার উদ্দেশ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখকে ভালোবাসা দিবস ঘোষণা করেন।
বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যা দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অবশ্য বর্তমান যুগে ভালোবাসা দিবসকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কৃতিত্বটা শুভেচ্ছা কার্ড তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান হলমার্কের। ১৯১৩ সাল থেকে হলমার্ক যখন ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার কার্ড তৈরি শুরু করে, মূলত তখন থেকেই দিবসটির কথা ব্যাপকভাবে প্রচার পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশে।
ভ্যালেন্টাইন নামের ওই সাধুর স্মরণে স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া এই উৎসব ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রেম ও ভালোবাসার দিবস হিসেবে। ভালোবাসার এই দিনে বসন্তের আগমনী বার্তায় ছড়িয়ে যাক দিকে দিকে।
জি আই/