কৃষি অফিসের সহযোগীতার অভাবে উদ্যেক্তার ফুল চাষে লোকসান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কৃষি অফিসের সহযোগীতার অভাবে উদ্যেক্তার ফুল চাষে লোকসান

লালমনিরহাটে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক উদ্যেক্তা ফুল চাষ করে লোকসানের মুখে পড়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ফুল চাষে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যোক্তা আব্দুর রশিদ সদর উপজেলার তেলীপাড়া এলাকায় তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে হরেক রকমের ফুলের চাষ করছেন। বাগানে রংবেরঙের ফুলের গাছ থাকলেও দেখা মেলেনি ফুলের। গোলাপ আর গাঁধা ফুলের গাছ ছাড়া আর কোন গাছেই তেমন ফুল আসেনি।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা আব্দুর রশিদ এক যুগের বেশি সময় ধরে লালমনিরহাট শহরের মিশোন মোড়ে রুপন ফুল বিতান নামের একটি দোকান দিয়ে ফুলের ব্যাবসা করে আসছেন। তার দোকান থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুল ক্রয় করেন ক্রেতারা। অন্য জেলা থেকে ফুল ক্রয় করে আনলে ফুলের মূল্য ক্রেতাদের কাছে বেশি নিতে হয় বলে তিনি নিজেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েন। তিনি বিগত পাঁচ বছর যাবৎ ফুলের চাষ করে আসছেন। তার বাগানে গোলাপ, গাঁধা, চন্দ্রমল্লিকা ও জার্ভেরাসহ বিভিন্ন জাতের মোট ২৫ হাজার ফুলের গাছ রয়েছে। তার বাগানে ৫ জন মালী ও দোকানে ৫ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। শুরুর দিকে ফুল চাষে লাভের মুখ দেখলেও কয়েক বছর থেকে লোকসান গুনছেন তিনি। এর মূল কারণ হিসেবে দায়ি করেছেন কৃষি বিভাগের লোকজনকে। সঠিক পরামর্শ ও সহযোগীতার অভাবে তিনি ফুলচাষে লোকসান করছেন বলে জানিয়েছেন।



উদ্যোক্তা আব্দুর রশিদ রুপন (৩৮) বলেন, লালমনিরহাট জেলায় আমি একমাত্র বানিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করেছি। কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও পরামর্শের অভাবে আমার বাগানে ফুলের ফলন কমে গেছে। তিন বিঘা জমিতে যা বিনিয়োগ করেছি তাতে আমি বর্তমানে লোকসানের মধ্যে রয়েছি। আমি কৃষি অফিসের পরামর্শ চাই। আমি আশাবাদী কৃষি অফিসের পরামর্শ পেলে সফলতার মুখ দেখবো। এ অবস্থায় আমি ফুল চাষ বাদ দিলে অনেকে বেকার হয়ে পড়বে।

তেলীপাড়া এলাকার মোঃ ইমাম উদ্দিন (৫৫) বলেন, আমি কয়েক বিঘা জমির উপর ধান,পাঠ, সবজিসহ বিভিন্ন চাষাবাদ করে থাকি। আমার পাশের জমিতে ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। এই বাগানে ফুলের গাছ অনেক থাকলেও ফুল তেমন দেখা যায় না। আমরা কৃষি অফিস থেকে যে পরিমানে পরামর্শ ও সহযোগীতা পাই সেরকম ফুল চাষীরা সহযোগীতা পায় না। যার কারনে তিনি লোকসানের মধ্যে আছে। তবে কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগীতা পেলে তিনি লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।

ওই বাগানের মালী রবিউল ইসলাম (৩৫) বলেন, আমরা এই বাগানে কয়েকজন কাজ করি। নিয়মিত হাজিরার বিনিময়ে কাজ করে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই আছি। বাগানের মালিক ফুল চাষ বন্ধ করে দিলে আমরা বেকার হয়ে পড়বো।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফা ইফতেকার সিদ্দিকা বলেন, ফুল চাষীদের জন্য আমাদের সরকারী কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। তবে আমরা ফুল চাষীদের কারিগরি পরামর্শ দিয়ে থাকি। ফুলচাষী আব্দুর রশিদ রুপন আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাকে কারিগরি সহযোগীতা করবো।

এসএ/