কক্সবাজারে ধর্ষণ মামলার বাদিকে ৫ বছরের কারাদন্ড
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, ১৩ই এপ্রিল ২০২৩
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার সত্যতা না পাওয়ায় বাদি নারীকে ৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে কক্সবাজার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকালে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন এমন আদেশ প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
পিপি ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, রুনা আকতার নামের এক নারী ৪ জনকে আসামী করে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
একই বছর গত ২৫ জুলাই মামলার আসামি ফিরোজ আহমদ (৪৭), রাসেল উদ্দিন (৩৮), মো. শরীফ (৪৮) ও নুরুল ইসলাম (৪৮) কে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদানের নিমিত্তে ১৭৩ ধারা মতে আদালতে ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন’ জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরির্দশক (অপারেশন) নাছির উদ্দিন মজুমদার।
পুলিশের দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদ বাদি রুনা আকতারের স্বামী। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার্ড কাবিননামামূলে ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য ও বিরোধ দেখা দেয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদের বন্ধু ও নিকটাত্মীয়। গত ১৪ মার্চ কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গনে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামানো ও নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন রাসেল উদ্দিন, মো. শরীফ ও নুরুল ইসলাম।
পিপি জানান, ১০ আগস্ট পুলিশের দাখিল করা চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে বাদির পক্ষের ‘নারাজি’ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার আদালতে আবেদন দেন। যা আদালত খারিজ করে দেন। মামলাটি আদালত মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
মামলা থেকে খালাস পেয়ে ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে রুনার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেন। এ মামলায় গত ১৫ ফেব্রæয়ারি রুনা আকতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত রুনা কারাগারে প্রেরণ করে এর বিচারকার্য শুরু করেন। বুধবার মামলাটির রায় প্রদান করা হয়।