মুখোমুখি জাহাঙ্গীর-আজমত

বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে কেন্দ্র ব্যবস্থা নিবেন আশাবাদী আজমত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৩


বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে কেন্দ্র ব্যবস্থা নিবেন আশাবাদী আজমত
ফাইল ছবি

আসন্ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো ২৭ শে এপ্রিল। শেষ তারিখের দিন সকল মেয়র পদপ্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেন। এরমধ্যে ১২ জন মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে এ যেন জল্পনা কল্পনার কোন শেষ নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে মনোনয়ন প্রদান করার কারণে অনেকেই হতাশ। আরেক দিকে বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সঙ্গে তার মা জায়েদা বেগম প্রার্থী হয়েছেন। কোন দিকে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন । নগরবাসীর ধোঁয়াশা যেন কাটছে না। দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী মুখোমুখি সংঘর্ষ জড়াবেন বলে আশঙ্কা করেন নগরবাসী।


আজমত উল্লাহ খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরাবরই বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এবারও বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নেবেন বলে আমি আশাবাদী। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, দৈত্য নাগরিকত্ব, ইত্যাদি অভিযোগের কারণে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মেয়র পদ নিয়ে মামলা হাইকোর্টে চলমান। এ বিষয় নিয়ে গাজীপুরের কোন নেতাকর্মী বা কাউকে দোষারোপ করার সমচিন নয়। এ নেতা আরো বলেন, প্রকৃত আওয়ামী লীগের লোক কখনো নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন ও নিজে এবং মাকে  প্রার্থীর ঘোষণা দিবে না।


জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই নগরকে রক্ষা করতে আমার এবং আমার মায়ের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থিতা ঘোষণা দেওয়া। এই শহরের মানুষের জন্য আমি কি করেছি তার প্রমাণ চাই ২৫শে মেয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে। অল্প সময়ের মধ্যে আমি যে জনবান্ধব কার্যকলাপ করেছি তা বিগত সময় কখনোই হয়নি। শুধুমাত্র একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে আজ এই অবস্থানে নামিয়েছে। আমি নৌকার বিরুদ্ধে না আমি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন করব। নগরবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার নির্বাচনের ভোটে জয়যুক্ত হয়ে আমি নগরবাসীর হাল ধরবো।


এদিকে নগরবাসীরা জানান, জাহাঙ্গীর ও আজমত উল্লাহ খান দুজনেই হেবিওয়েট প্রার্থী। তবে জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তা বেশি। যদি জাহাঙ্গীর আলম শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকতে পারে, এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে জাহাঙ্গীরকে মেয়র হিসেবে বেছে নেবে নগরবাসী। 


তারা আরও বলেন, এ নির্বাচনে কোন মার্কা নয় পছন্দের ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে মেয়র করার ইচ্ছা আমাদের। তবে ভোটের মাঠে শেষ অব্দি কি টিকে থাকতে পারবে জাহাঙ্গীর আলম প্রশ্ন নগরবাসীর?