স্বামীর লাশ দাফনের পর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন নববধূ


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, ৩রা মে ২০২৩


স্বামীর লাশ দাফনের পর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন নববধূ
ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর মৃতদেহ দাফন করে বগুড়ার ধুনটে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মিম খাতুন নামের এক নববধূ। মিম ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বলে জানা গেছে।


মঙ্গলবার (২ মে) ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মিম বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের চালাপাড়া চৈতারপাড়ার নান্নু মিয়া (৩০) ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে পারিবারিকভাবেই নান্নু মিয়ার সঙ্গে মিম খাতুনের বিয়ে হয়। 


এদিকে গত ৩০ এপ্রিল মিমের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরপর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে যায় মিম। ওই দিন রাতে নবদম্পতি বাবার বাড়িতে একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত দেড়টার দিকে ঘুম থেকে জেগে স্বামীকে বিছানায় খুঁজে পায়নি। এ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের পাশে গাছের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ন্নানু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।


সংবাদ পেয়ে (১ মে) সকালের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নান্নু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নান্নু মিয়ার মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার রাতে চালাপাড়া চৈতারপাড়ায় নিজ বাড়িতে নান্নু মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।


পরীক্ষা দেওয়া শেষে মিম খাতুন সাংবাদিকদেরকে জানান, ওই রাতে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু কী কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না।


পরীক্ষা কেন্দ্রসচিব তফিজ উদ্দিন বলেন, স্বামীকে হারানো যে কারো জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও এসএসসি পরীক্ষার্থী মিম স্বামী হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।


ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আমরা মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারব।