ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন ও কীভাবে করা হয়?
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:৩০ অপরাহ্ন, ১২ই মে ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি যখন তখন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার নাম দেওয়া হয়েছে সেটি হলো মোখা। দেশের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে বুধবার (১০ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় কেন?
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়, যাতে মানুষ ঝড়ের কথা মনে রাখতে ও শনাক্ত করতে পারেন। একটি নাম দিয়ে সচেতনতা তৈরি ও সতর্কতা প্রেরণ করা যেন সহজ হয় সে কারণেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় কীভাবে?
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা যেমন- বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও), এশিয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়।
এছাড়াও আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি), পাশাপাশি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রগুলোও ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তুত করে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বিশ্বের ছয়টি আরএসএমসি’র মধ্যে আছে, যেগুলোকে উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডাব্লিউএমও ও ইউএন এসকেপ (ইএসসিএপি) ভারত, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওমান নিয়ে গঠিত।
কে ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করেন?
ডাব্লিউএমও এর তথ্য অনুসারে, আটলান্টিক ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম বর্ণানুক্রমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়।
এক্ষেত্রে দেশ ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ হিসেবে নারী ও পুরুষদের নামে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হতে পারে।
সূত্র: লাইভমিন্ট.কম