ফসলি জমির মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: ডিসি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১০ অপরাহ্ন, ১৫ই মে ২০২৩


ফসলি জমির মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: ডিসি
ছবি: জনবাণী

গোপালগঞ্জে অবৈধভাবে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও বালু উত্তোলনসহ সরকারি জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুল আলম। 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা উপেক্ষা করে সম্প্রতি গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অসাধু একটি চক্র অবৈধভাবে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ভেকু মেশিন দিয়ে জমির মাটি কেটে ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে অবাধে তা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 


স্থানীয় জনগণ ও গণমাধ্যমকর্মীরা এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পর মাঝে মধ্যে দু /একটি অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে চক্রের দুই একজন সদস্যকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড অনাদায়ে অর্থ জরিমানা করলেও বাস্তবে এ চক্রের অবৈধ কর্মকাণ্ড কোন ভাবেই প্রতিহত করা যাচ্ছে না। 


জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার (১৪ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘স্বচ্ছতায়’ অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদেরকে অবৈধভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনকারী ও সরকারি খাসজমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।


এছাড়াও সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট জেলায় অবৈধ ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অনিবন্ধিত ফার্মেসী, ভুয়া চিকিৎসক, ভেজাল ওষুধ বিক্রেতাদের তথ্য দিতে অনুরোধ জানান।


এদিকে পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএমস সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রত্যেক মোটরসাইকেল আরোহীকে বাধ্যতামূলক মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করা, যানবাহনের হালনাগাদ রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ও বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ব্যতয় ঘটলে কেউ যেন পুলিশ প্রশাসনকে কোন তদবির না করে সভায় সকলের নিকট সেই অনুরোধ জানান তিনি। 


অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক, কোটালীপাড়া পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার এম বদরুদ্দোজা বদর, কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল- মামুন, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ, মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত কুমার সাহা, সহকারী কমিশনার মো. আরিফ হোসেন, জেলা কমান্ড্যান্ট মো. ফজলে রাব্বী, গোপালগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম, শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহানাজ রেজা এ্যানী, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক হারুন- অর- রশীদ, জেল সুপার আল মামুন, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আশিষ কুমার দাস, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস কে ইফতেখার মোহাম্মদ উমায়ের, প্রেসক্লাবের  মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আহম্মদ আলী খান, মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, মিজানুর রহমান মানিক, সহ-সভাপতি বুলবুল আলম বুলু, সাংবাদিক কে এম সাইফুর রহমান সহ জেলা আইন- শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।