শ্রীনগরে দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৮ অপরাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৩


শ্রীনগরে দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি
ছবি: জনবাণী

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কালবৈশাখীর ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে এখনও বিদ্যুৎ সচল করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। গত মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎতের খুঁটি ও তার ছিড়ে বিভিন্ন স্থানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এতে বেশিরভাগ স্থানে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। 


অপরদিকে গত বুধবার সকালে কালবৈশাখীর ঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি ও তার ছিড়ে এই ভোগান্তি চরম আকারে রূপ নিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ফ্রিজের মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 


অভিযোগ উঠেছে, বুধবারের ঝড়ে বিভিন্ন গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে যাওয়া তার সচল করতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ মেরামত কর্মীরা স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। 


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আটপাড়া, বাড়ৈগাঁও, মাইজপাড়া, ছনবাড়ি, টুনিয়ামান্দ্রা, শ্রীনগর বাইপাস এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎত লাইন  সচল হয়নি। 


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা ৯ মেগাওয়াট। শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ পাচ্ছে প্রায় ৫ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় শ্রীনগরে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে ৪৪ শতাংশ মানুষ।


স্থানীয়রা জানায়, চলতি মাসে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এর মধ্যে দুইদফা ঝড়ের তান্ডবে দীর্ঘ লোডশেডিং হচ্ছে। সামান্য ঝড়-বৃষ্টির দেখার আগেই দ্রুতগতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। 


তারা বলছেন, একটু ঝড় হলেই পল্লী বিদ্যুতের জরার্জীণ খুঁটি ও তার ছিড়ে যাচ্ছে। উপজেলার টুনিয়ামান্দ্রা এলাকার হারুন মাঝি বলেন, একদিন হলো এখন বিদ্যুৎ আসে নাই। 


মাইজপাড়ার শাজাহান মিয়া জানান, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে বিদ্যুৎ আসার খবর পাইনি। সদর ইউনিয়নের হরপাড়ার মো. সুজন, আনিছ রহমান, সালাম সরদারসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে। বিকাল পর্যন্ত কিছু কিছু বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইন সচল হলেও বেশিরভাগ বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়নি। 


এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্মীকে যারা টাকা দিয়েছে তাদের লাইন দ্রুত সচল করা হয়েছে। পরে তোপের মুখে গভীর রাতে এককর্মী এসে হরপাড়া বিদ্যুৎ সচল করে যান।


এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মচারি জানান, প্রতিদিন এলাকা ভিত্তিক রোস্টার ডিউটিতে কাজ করতে হয়। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করেন।


শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আবু তাহের বলেন, বিকালের দিকে আমি হরপাড়া পরির্দশনে গিয়েছি। বৈদ্যুতিক সরাঞ্জম অভাবে লাইন ওইদিন লাইন ঠিক করা সম্ভব হয়নি। 


ডিজিএম মদন গোপাল সাহা জানান, আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। এমনটা হয়ে থাকলে খুব খারাপ হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎতের তার ও খুঁটি পড়ে গেছে। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন সচল করার চেষ্টা করছি।


জেবি/ আরএইচ/