কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি কাজে ব্যবহৃত ‘হাতছান্নি’
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হাতছান্নি। প্রাচীনকাল থেকে হাতছান্নি কৃষিকাজে ব্যবহারে চাষিদের জীবন-জীবীকার অন্যতম উৎস। কৃষি কাজে ব্যবহৃত এই হাতছান্নি ছাড়া জমিতে কৃষকরা ফসল ফলাতে পারেনি। কৃষিকাজে হাতছান্নির মাধ্যমে কৃষিতে সোনার ফসল ফলায় প্রান্তিক চাষিরা। হাতছান্নি আজ থেকে দুই যুগ আগে সবার পরিচিত ছিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতছান্নি এখন বিলুপ্তির পথে।
কয়েক দিন আগে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীর বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম এলাকায় ধরলা নদী ও নীল কমল নদের তীরবর্তী গ্রামে কৃষক কমলা কান্ত রায় জমিতে আগাছা পরিষ্কার করতে হাতছান্নি ঘাড়ে করে মাঠে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে।
বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিরাম এলাকার কৃষক কমলা কান্ত রায় জানান, এই হাতছান্নি দিয়ে নিড়ানির কাজে ব্যবহার করি। জমিতে ফলল ফলার সময় ঘাঁস ও আগাছাসহ বিভিন্ন ধরণের জাঁকন পরিষ্কার করতে হাতছান্নির ব্যবহার হয়। বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা হাতছান্নি ব্যবহার করে আসছি। তবে আগের চেয়ে এর ব্যবহার অনেকাংশে কমেছে। আগে প্রতিটি কৃষক হাতছান্নির ব্যবহার করতো।
বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের পাশাপাশি শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের কাছে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হাতছান্নি নামের যন্ত্রটি সবার সুপরিচিত। সাধারণত যেটি আকারে বড় সেটি বেদা, আর যেটি আকারে ছোট সেটি হাতছান্নি। আজ থেকে প্রায় দুই যুগ আগে হাতছান্নি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। প্রান্তিক চাষিরা হাতছান্নির ব্যবহার কমে যাওয়ায় এখন আর আগের মতো দেখা মেলে না। ফলে কালের বিবর্তনে এখন এই যন্ত্রটি বিলুপ্তির পথে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা.নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, একটি বাঁশের দণ্ড দিয়ে এই যন্ত্রটি দ্বারা কাজ করা হয়। চাষিরা এই হাতছান্নি দিয়ে কৃষকরা অতিরিক্ত আগাছা নিধন করে। কৃষি কাজের জন্য এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আগে এর ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। এখন আস্তে আস্তে হাতছান্নির ব্যবহার কমে যাচ্ছে। তারপরেও কিছু চাষি বাপ-দাদার আমল থেকে হাতছান্নি ব্যবহার করে আসছে।