শিল্পকলায় ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, ২২শে মে ২০২৩


শিল্পকলায় ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ছবি: শিল্পকলা একাডেমী

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 


দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, খন্দকার নুরুল আলম, আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ এবং উদয় শংকর রায় স্মরণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। 


সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় বিশিষ্ট বাঙালি কবি, নাট্যকার ও সংগীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এবং স্বনামধন্য বাংলাদেশী সংগীত পরিচালক ও সুরকার খন্দকার নূরুল আলম স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আয়োজনের প্রথম দিন। 


বিশিষ্ট বাঙালি কবি, নাট্যকার ও সংগীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শাহনিাজ নাসরিন ইলা, সহযোগি অধ্যাপক সঙ্গীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খন্দকার নূরুল আলম স্মরণে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি সংগীত কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান জনাব ড. কমল খালিদ। 


আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. শামীম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রভাষক মেহফুজ আল ফাহাদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব রাজীব কুমার সরকার। 


আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন ‘দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুরোনো গান যেগুলো রেকর্ড করা আছে সেগুলোর স্বরলিপি করা হলে তা সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া হাসির গানগুলো সংরক্ষণ করা হলে তরুণ প্রজন্মরাও আগ্রহ নিয়ে গাইবে।


বক্তারা আরও বলেন- গানের মধ্যে প্রবল হাস্যরসের মাধ্যমেও যে বার্তা দেয়া যায় তো সৃষ্টি করেছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তিনি গেয়েছেন –‘এমন চাঁদের আলো মরি যদি সেও ভালো’.. এসব সুর সংরক্ষণে তিনি কিছুটা উদাসীন ছিলেন’ উল্লেখ করে এ প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণের তাগিদ তুলে ধরেন বক্তারা। 


অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির  সচিব  সালাহউদ্দিন আহাম্মদ বলেন- এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। বরাবরই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এসব গুণী মানুষদের সৃষ্টি করা গান, নাটক ও সাহিত্য চর্চা এবং সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মুলত পরবর্তী প্রজন্মের নিকট এবং সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরাই আমাদের মুল লক্ষ্য।’


আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় স্মরণে শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। 


খন্দকার নুরুল আলম স্মরণে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী স্বরলিপি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইমামুর রশিদ এবং আযহারুল ইসলাম রনি।


জেবি/ আরএইচ/