আট আসরের চারবারই সেরা সাকিব
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
দল সেরা হতে না পারলেও টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেলেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পুরো আসরে দাপটের সাথে খেলে ফাইনালে এসে হোঁচট খেল সাকিবের দল। একটুর জন্য ফসকে গেল ট্রফি। তবে ফাইনালের আগে সাকিব যা করেছেন, তাতেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
এবার নিয়ে বিপিএলের আট আসরের চারবারই সেরা হলেন এই অলরাউন্ডার। তার মতো একাধিকবার ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হতে পারেননি আর কোনো ক্রিকেটার।
এবার বিপিএলের শুরু থেকেই সাকিব ছিলেন চেনা চেহারায়। বল হাতে তিনি বরাবরই ধারাবাহিক। তবে ছন্দ পাচ্ছিলেন না ব্যাট হাতে। তবে ব্যাটিং পজিশন বদলে ঠিকই খুঁজে পান নিজেকে।
ব্যাট-বলের পারফরম্যান্সে নিজেকে তুলে নেন রেকর্ড উচ্চতায়। টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে গড়েন বিশ্বরেকর্ড।
প্রথম কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে বোলিং যথারীতি ছিল ভালো। সব মিলিয়ে ১১ ইনিংসে ১৪৪.১৬ স্ট্রাইক রেটে ২৮৪ রান ও ১৬ উইকেট, এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর টুর্নামেন্ট সেরার লড়াইয়ে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না সাকিবের।
ম্যাচের পর সাকিব বললেন, ‘ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলীয় অর্জনই তার কাছে বেশি কাঙ্ক্ষিত ছিল।’
‘আমার জন্য এটা ভালো টুর্নামেন্ট ছিল। তবে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হওয়ার চেয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারলেই ভালো লাগত বেশি’ যোগ করেন সাকিব।
বিপিএলের প্রথম আসরে খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস ফাইনাল খেলতে না পারলেও সাকিব টুর্নামেন্ট সেরা হন ১১ ইনিংসে ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ২৮০ রান করে ও ১৫ উইকেট নিয়ে। পরের আসলে ১২ ইনিংসে ৩২৯ রান করেন ১৬৪.৫০ স্ট্রাইক রেটে। ওভারপ্রতি ৬.২১ রান দিয়ে উইকেট নেন আবারও ১৫টি।
পরের তিন আসরে আর সেরা হতে পারেননি সাকিব। ২০১৫ সালে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ অলরাউন্ডার আসহার জাইদি, ২০১৬ আসরে মাহমুদউল্লাহ ও ২০১৭ আসরে ক্রিস গেইল।
তবে ২০১৯ আসরে আবার সেরা হন সাকিব। এবার ১৫ ইনিংসে ৩০১ রান করেন ১১৩.১৫ স্ট্রাইক রেটে। বল হাতে নিজের সেরা আসর কাটান ২৩ উইকেট নিয়ে। এবারের আগে সবশেষ আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল।
বিপিএলের অষ্টম আসরে আবার নিজের জায়গা ফিরে পেলেন সাকিব।
এসএ/