হাটে গরু থাকলেও ক্রেতা নেই
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:১৪ অপরাহ্ন, ২৩শে জুন ২০২৩
পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ইতমধ্যে ঢাকার দুই সিটিতে ১৯ টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। হাটগুলোতে গত বুধবার থেকে গরু আসতে শুরু করেছে কিন্তু ক্রেতা নেই।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর হাটে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
হাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে মূলত ঈদের দুই-একদিন আগে পুরোদমে কোরবানির পশু বিক্রি হবে।
কুষ্টিয়া থেকে ২০ টি গরু নিয়ে কমলাপুর হাটে এসেছেন পান্নাত বেপারী। কথা হলে তিনি জানান, গতকাল রাতে গরু নিয়ে এসেছি৷ সকাল থেকে কয়েকজন ক্রেতা এসেছেন৷ অবশ্য দাম জিজ্ঞাসা করেই তারা চলে যাচ্ছেন৷ আরও ২ দিন পর থেকে পুরোদমে বেচা-বিক্রি শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, যেহেতু এখনো বিক্রি শুরু হয়নি সেহেতু পরিস্থিতি এখনো বোঝা যাচ্ছে না। পুরোদমে বিক্রি শুরু হলে কেমন গরুতে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি সেটা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: হাটগুলোতে পশু আসতে শুরু করেছে, কাল থেকে বিক্রির আশা
কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে গরু নিয়ে এসছেন জান্নাতুর রহমান বেপারী তিনি বলেন, আমি ১৮ ট গরু নিয়ে এসেছে গতকাল। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। যারা আসছে তারাও শুধু দাম যাচাই করছে। আরও ৬ দিন বাকি আছে দেখা যাক।
এদিকে হাটের প্রধান প্রবেশ পথে হাসিল দেওয়ার কাউন্টার বসানো হয়েছে। এছাড়া কমলাপুরের উট খামারের আগে দেওয়ানবাগ শরীফের সামনে ও গোপীবাগের প্রবেশ পথেও হাসিল সংগ্রহের কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। হাট পুরোদমে শুরু হলে কাউন্টারের সংখ্যা বেড়ে ২৫টি থেকে ৩০টিতে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাট পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক সিরাজ হোসেনের জানান, পশু আসতে শুরু করেছে৷ ঈদের আগের তিন-চারদিন বিক্রি বেশি পরিমাণে হবে। এ বছর ২০-২৫টি স্থায়ী হাসিল কাউন্টার ও ৫-৭টি অস্থায়ী হাসিল কাউন্টার থাকবে। সবমিলিয়ে এ বছর প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল সংগ্রহ করা হবে।
জেবি/ আরএইচ/