হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, বড় গরুতে আগ্রহ নেই


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ২৭শে জুন ২০২৩


হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, বড় গরুতে আগ্রহ নেই
ছবিটি রাজধানীর আফতাবনগর হাট থেকে তোলা

আর মাত্র ২ দিন পরেই কোরবানির ঈদ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এদিন পশু কোরবানি করবেন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। 


এদিকে ঈদের মাত্র আর একদিন বাকি থাকায় রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। ঢাকা দুই সিটিতে এবার ১৯ কোরবানির পশু হাট বসেছে। হাটে পশু বিক্রিও শুরু হয়েছে।


রাজধানীর লালবাগের রহমতগঞ্জ হাট ঘুরে দেখো গেছে, হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু রয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা নেই। মূলত এখন যারা হাটে আসছেন তারা দাম-দর করেই চলে যাচ্ছে।


হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি ও ছোট গরুর দিকে। বড় গরুর দিকে ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ নেই। যারা হাটে এসে বড় পশু দাম করছেন তারা বেশিরভাগই দাম যাচাই করছেন।


ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যেহেতু ঈদের এখন ২ দিন বাকি আছে তাই তারা একটু সময় নিয়েই পছন্দের কোরবানির পশুটি কিনবেন। তারা বলছেন, বাড়িতে পশু রাখার জায়গা নেই। আবার কেউ কেউ বলছেন তারা দাম কমলে পশু কিনবেন। 


ক্রেতারা জানান, গতবারের তুলনায় এবার প্রতিটি পশুতে দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। যে গরু গতবার ১ লক্ষ ছিলো সেটা এবার ২ লক্ষ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন: রাজধানীর হাটে পশুর দাম বেশি, ক্রেতা কম


অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, পশুর দাম এবার বেড়েছে। খাবার ও সবকিছুতেই খরচ বেড়ে যাওয়ায় পশুর দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বিক্রেতারা বলছে, এখনও ২ দিন বাকি আছে বেচাকেনা সেভাবে শুরু হয়নি। বেচাকেনা শুরু হলে বাজার বোঝা যাবে।


 রহমতগঞ্জ পশুর হাটে ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন পাবনার হুমায়ন কবির। তিনি শনিবার হাটে গরু আনলেও সোমবার (২৬ জুন) রাত পর্যন্ত মাত্র তিনটি বিক্রি করতে পেরেছেন। এর মধ্যে দুটি গরুই আকারে ছোট, ওজন তিন মণের কাছাকাছি। আরেকটি গরুর ওজন ছিল প্রায় সাড়ে ৪ মণ। 


কবির বেপারী জানান, ক্রেতার সংখ্যা কম। একেকজন যে দাম বলছেন, শুনেই বোঝা যাচ্ছে, তারা কিনবেন না। অনেক গরুর যে দাম বলে, তার দ্বিগুণ দামে কিনে এনেছি বা খরচ পড়েছে। আকাশের অবস্থা ভালো নয়। এদিকে, পরশুদিন ঈদ। আল্লাহ জানেন, কী হবে এবার!


ছোট আকারের দুটি গরু ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কিনেছেন আজিমপুরের বাসিন্দা তারেক মনোয়ার। তিনি জানান, এবার গরুর দাম গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। বিক্রেতারা প্রতিটি গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি চাইছেন। তার কেনা দুটি গরুতে গত বছরের তুলনায় অন্তত ৩০ হাজার টাকা বেশি লেগেছে।


কামরাঙ্গীরচরের ক্রেতা সেলিম মিয়া গরু কিনেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, এই গরুর দাম চেয়েছে দেড় লাখ টাকা। অনেক ঘুরে এটাই পছন্দ হয়েছে। আমার ছেলেরও পছন্দ হয়েছে। 


জেবি/ আরএইচ/