লাখের নিচে মিলছে না মাঝারি আকারের গরু
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:১৯ অপরাহ্ন, ২৭শে জুন ২০২৩
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র বাকি আছে একদিন। ইতমধ্যে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাকডাকে মুখোরিত কোরবানির পশুর হাট। চলছে পশু বেচাকেনা।
ক্রেতারা বলছেন, এবারও গরুর দাম অনেক বেশি। লাখের নিচে ভালো মানের গরু মিলছে না।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গরুর খাদ্যসহ সব কিছুর দাম বাড়তি। গরু লালন-পালনে খরচ বেশি হয়েছে। তাই কম দামে গরু বিক্রি করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সরেজমিনে বসিলা হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে আনা হয়েছে দেশি-বিদেশি জাতের গরু। ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে খুঁজছেন পছন্দসই গরু। আকারে ছোট সাইজের গরুরও সর্বনিম্ন দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭০ হাজার।
হাটে কুষ্টিয়া থেকে ১৪ টি গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুল বেপারী। কথা বললে তিনি জানান, বিক্রির পরিমাণ খুব একটা বেশি নয়। হাটে আসার পর চারটা গরু বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের তেমন সাড়া মিলছে না।
এ হাটে আসা অধিকাংশ ক্রেতাই মধ্যম আয়ের। পশুর দাম তাদের অনেকেরই ক্রয়সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, বড় গরুতে আগ্রহ নেই
ক্রেতা মাসুক এলাহী জানান, বেশ কয়েকটি গরু দেখলাম। কোনোটা ১ লাখ ২০ হাজার, কোনোটা ১ লাখ ৬০ আবার কোনোটা ২ লাখ টাকা। ছোট আকারের গরুর দামও চাওয়া হচ্ছে ৭০-৯০ হাজার টাকা।
৮৫ হাজার টাকায় মাঝারি আকারের গরু কিনে ফিরছিলেন মীর হোসেন নামের এক ক্রেতা। তিনি জানান, দাম একটু বেশি পড়ে গেছে। কিছু করার নেই। এর নিচে তো ভালো কিছু পাওয়াও যাচ্ছে না।
গরুর দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে বাজারের সার্বিক অবস্থাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান, গরুর খাবারের দাম বেড়ে গেছে। ৫০ কেজির এক বস্তা ধানের কুড়ার দাম গতবার ছিল ৪০০ টাকা। এবার তা ৮০০ টাকা। ১১শ টাকা দামের ২০ কেজির এক বস্তা ভুসির দাম এখন ১৭শ টাকা।
জেবি/ আরএইচ/