গোপালগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৪১ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৩


গোপালগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি
ছবি: জনবাণী

গোপালগঞ্জে জমি সংক্রান্তে পূর্ব বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জ সদর মামলা নম্বর সি.আর ৭৬২/২৩ ধারা ৪২০/৪০৬ দ. বি. ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম কে এম সাইফুর রহমান। সে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সদস্য ও প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক। 


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ভুক্তভোগীর আপন ছোট ভাই কাজী সেলিম নয়নের দায়েরকৃত দেওয়ানী ২১১/১২ নং মামলার বিবাদী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়নের ডুমদিয়া নিবাসী প্রয়াত শাজাহান সরদারের সাথে একটি বিতর্কিত দলিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। পরে বিবাদী মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশ, পুত্র জিহাদ সরদারকে বিবাদী করে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 


মোকদ্দমায় আদালতের ‘স্ট্যাটিজকো’ বলবৎ থাকা সত্ত্বেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদী পক্ষের নির্দেশে চলতি বছরের গত ২ ও ৩ জুন স্থানীয় উরফি ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী ও গোপালগঞ্জ থানাপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম শিবলী আহমেদ সরদারের যোগসাজোসে নালিশি ভূমির ওপর দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে এডিপি প্রকল্পের আওতায় জোর করে পাকা রাস্তার ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে। 


পরে খবর পেয়ে বাদীর মেজো ভাই সাংবাদিক কে এম সাইফুর রহমান‌ গোপালগঞ্জ সদর থানার সহায়তায় এসআই আজাদকে সাথে নিয়ে এলাকায় যায়। এসআই আজাদ সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ঠিকাদার ও বিবাদী পক্ষের লোকজনদেরকে নালিশি ভূমিতে আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেন এবং নালিশি ভূমিতে লাল কাপড়ের পতাকা টাঙিয়ে দেন। ওই মুহুর্তের ঘটনাগুলো সেই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। 


আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে এমপির স্বাক্ষর জাল করে সুবিধা নিতে গিয়ে আটক ২


নালিশি ভূমিতে পুলিশ নিয়ে গিয়ে কাজ বন্ধ করার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন পুলিশের সামনেই বিবাদীর ভাই সাংবাদিক কে এম সাইফুর রহমানকে হামলা-মামলার হুমকি-ধমকি দেয়। পরবর্তীতে, বিবাদীর এক আত্মীয় অলিয়ার রহমান সরদার গত ১২ জুন ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাইফুর রহমানকে একমাত্র বিবাদী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। 


এ বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজন বলেন, যেহেতু তাদের সাথে সাইফুরদের দীর্ঘ এক যুগ ধরে আদালতে মামলা চলমান। তাছাড়া জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্তে এতগুলো টাকা লেনদেনে কোন বায়না পত্র ও দালিলিক প্রমাণ না থাকাটা কি প্রমাণ করে? এছাড়াও গোপালগঞ্জ সি.আর ৭৬২/২৩ মামলায় দ্বিতীয় ঘটনা ৯ জুন বেলা ১১টায় বিবাদীর মৌলভীপাড়ার বাসার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। ঐদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় আলোচিত মামলার বাদী অলিয়ার রহমান সরদারের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। 


ভুক্তভোগী সাংবাদিক কে এম সাইফুর রহমান বলেন, আমার বাবা একজন সৎ ও আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আমরা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তাছাড়া আদালত মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সিআইডি শাখায় প্রেরণ করেছেন। তারা সুষ্ঠু 

তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবেন সেই প্রত্যাশা রইলো। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হেয় করার অভিযোগে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি 


এবিষয়ে অভিযুক্ত অলিয়ার রহমান সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


জেবি/ আরএইচ/