ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বের করে দিল শিক্ষকরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৩


ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বের করে দিল শিক্ষকরা
ছবি: জনবাণী

৩৩ দিন পর জামালপুরের সরিষাবাড়ী সরকারি পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুর রহমান কলেজে আসায় ধাক্কা দিয়ে বের দিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।


সরিষাবাড়ী সরকারি পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের পর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুর রউফ অবসরে যান। ২০১৯ সালে জেষ্ঠতা লঙ্গন করে কলেজ শাখার পঞ্চম শিক্ষক শহীদুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা গত ৮ জুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুর রহমানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।


গত ২৪ এপ্রিল স্কুল শাখার শিক্ষকরা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের বরাবরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিধি মোতাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন।


আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ীতে মাসুদের ১০৬০ ফুট আর্জেন্টিনার পতাকা


গত ৬ জুন এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষকদের সাথে সভা করেন। এরপর গত ১২ জুন ফের শিক্ষকরা ইউএনওর সাথে দেখা করেন। আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেননি বলে শিক্ষকরা জানান।


সরিষাবাড়ী সরকারি পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন বলেন, সরকারি বিধি লঙ্গন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে শহীদুর রহমান অবৈধ ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।


সহকারি প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও শহীদুর রহমান জেষ্ঠতা লঙ্গন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন। ইউএন ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়  শিক্ষকরা অধ্যক্ষের কক্ষে ৩৩ দিন আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছে। তিনি কলেজে আসলে শিক্ষকরা তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে।


এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, বিষয়টি শুনেছি। একজন শিক্ষক হয়ে অন্যজন শিক্ষককে ধাক্কা দেওয়া এটা উচিৎ হয়নি।


জেবি/ আরএইচ