সখীপুরে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে পাশের হার শূন্য


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১১ অপরাহ্ন, ৩০শে জুলাই ২০২৩


সখীপুরে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে পাশের হার শূন্য
ছবি: দৈনিক জনবাণী

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে পাশের হার শূন্য। ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীই পাস করেনি এসএসসিতে। উপজেলার ইছাদিঘী দাখিল মাদ্রাসা ও কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা যায়।


এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে ইছাদিঘী দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমপিওভুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানটির এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই মাদ্রাসা থেকে ২৬জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২১জন। মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই অকৃতকার্য হয়েছে। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে সুপারসহ ১৫জন শিক্ষক ও ৫জন কর্মচারী আছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। 


এদিকে, ২০০০ সালে কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী আছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬জন। বিদ্যালয়টি ২০২১ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পায়। ওই বছর মাত্র একজন শিক্ষার্থী ও ২০২২ সালে  দুইজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই পাস করে। এবার ওই বিদ্যালয় থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। এতে এমপিওভুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা।


আরও পড়ুন: সখীপুরের সেই তিন কন্যার ফলাফলে খুশি পিতা


ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন এবিষয়ে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে গত দুই বছর শতভাগ পাস ছিল। এবার তিনজন শিক্ষার্থী পড়াশোনায় খুবই দুর্বল ছিল। ফলে তারা পাস করতে পারেনি। আগামী বছর ১৭ জন পরীক্ষা দেবে। তখন নিশ্চয়ই ভালো করবে।


এ বিষয়ে জানতে শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া অন্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইছাদিঘী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সহকারী সুপারের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় অফিস সহায়ক আবু তালেবের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 


আরও পড়ুন: কান্তার পল্লীতে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 


জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঝিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলায় একটি মাদ্রাসা ও একটি ননএমপিভুক্ত বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি। বিষয়টি দুঃখজনক। ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। এতে ননএমপিভুক্ত বিদ্যালয়টির এমপিওভুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।


জেবি/এসবি