বিদেশে বাংলা ভাষা এবং তরুণ প্রজন্ম


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিদেশে বাংলা ভাষা এবং তরুণ প্রজন্ম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার কথা মনে হলেই কত শত কথাই মনে পড়ে, যার প্রকাশ পায় লেখনীর ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে। ভাষার কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়,মা,মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি-এই তিনটি শব্দের অর্থ এক নয়। এর প্রত্যেকটির রয়েছে আলাদা আলাদা অর্থ ও বৈশিষ্ট্য। আভিধানিকভাবে অর্থ ও বৈশিষ্টে্র ভিন্নতা থাকলেও এর তাৎপর্য এক ও অভিন্ন। তিনটি শব্দের সঙ্গেই মা, যুক্ত। মা যেমন তার সন্তানের কাছে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসার পাত্র, তেমনি একটি জাতির কাছে তার ভাষা,দেশ ও শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসার বস্তু। নিজের ভাষা ও দেশকে নিজের মায়ের মতোই দেখা উচিত। এ দৃষ্টিকোণ থেকে তিনটি শব্দ একই তাৎপর্যে অন্বিত।মানুষ মাতৃভাষার মাধ্যমেই কেবল সবচেয়ে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা ও মনের কথা প্রকাশ করতে পারে।এ বিষয়টি নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন। মাতৃভাষার এত গুরুত্ব এই জন্য যে, পূর্ণাঙ্গ শিশু হিসেবে জন্মলাভের আগে থেকেই তার মধ্যে মাতৃভাষার ভিত্তি রচিত হতে থাকে। প্রতিটি শিশু জন্মলাভের পর থেকে দেখে মা তার সঙ্গে কথা বলছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সে বুঝতে পারে মায়ের কোন কথায় সে হেসে হেসে আনন্দ প্রকাশ করবে, কোন কথায় আপত্তি জানাবে। শিশু কথা বলতে শেখার আগে থেকেই কার্যত মনের ভাব বিভিন্ন ধ্বনির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। এখানেই মাতৃভাষার গুরুত্ব। শিশু মাতৃভাষা সবচেয়ে সহজে আয়ত্ত করে এবং এটা তার একেবারে আপন ভাষা। সুতরাং মাতৃভাষায় একজন শিশু সবচেয়ে ভালোভাবে জানতে, বুঝতে ও চিন্তা ভাবনা করতে পারে। মাতৃগর্ভে ভ্রূণের বিকাশের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেল বিভক্তির মাধ্যমে গঠিত হয় নার্ভসেল। এই সেলগুলোই পর্যায়ক্রমে স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভাস সিস্টেম গঠনে সাহায্য করে এবং এ সময়ই স্পর্শানুভূতির প্রারম্ভিক সূচনা ঘটে। এই নার্ভসেল গুলোই মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য অঙ্গগুলো গঠনের কাজ শুরু করে। 

মস্তিষ্ক গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যে শিশুটি জন্ম নিতে যাচ্ছে তার সঙ্গে মায়ের চিন্তা ভাবনা ও আবেগ অনুভূতির আত্মিক সংযোগ স্থাপিত হয়।ভাষা শুধু কিছু শব্দের সমষ্টি নয়। এর সঙ্গে আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা, স্বপ্ন, কল্পনা সবকিছু জড়িত। ভাষা ছাড়া কোনো কিছু চিন্তা বা মনে মনে কল্পনা করা যায় না।আমরা হয়তো লক্ষ্য করেছি একমাত্র মানুষই ভাষা জানে। মনের ভাব প্রকাশ করার এই ক্ষমতা আর কোনো প্রাণীর নেই। কেন নেই? কারণ তাদের স্বরযন্ত্র থাকলেও মস্তিষ্কের যে অংশ চিন্তাভাবনার কাজ সম্পন্ন করে, তার সঙ্গে এর সংযোগ নেই। মানুষের আছে, তাই মানুষ কথা বলতে পারে। ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সে অনেক বেশি চৌকস হয়। চট করে সবকিছু বুঝতে পারে। সব ক্ষেত্রে অনায়াসে সে এগিয়ে যেতে পারে। তার ব্যাক্তিত্ব সকলকে আকৃষ্ট করে। শুধু তাই নয় মাতৃভাষায় দক্ষতা বাড়লে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও বাড়ে। অর্থনীতিবিদেরা বলেন, মাতৃভাষায় দশ শতাংশ দক্ষতা বাড়লে ০.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়ে।যে শিশু মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন করে তার পক্ষে অন্য একটি বা দুটি বিদেশি ভাষা শেখা অনেক সহজ হয়। এর ফলে সে সহজে বিশ্বের জ্ঞানভান্ডারে প্রবেশ করতে পারে। এ জন্য দেখা যায় ইউরোপ-আমেরিকায় স্কুলে শিশুদের মাতৃভাষার পাশাপাশি আরো দুটি ভাষা শেখার ওপর বেশি জোর দেয়া হয়। এতে শিশুর জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। সে আরো বেশি স্মার্ট হয় এবং তার চিন্তার গতি খুব দ্রুত হয়।জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ দেশ ছেড়ে, প্রবাসী হয়। এখানে কর্ম মুখ্য নয়, অর্জনই মুখ্য। ভিন দেশ, ভিন ভাষা, রক্ত-জল পরিশ্রমে নিজেদের নির্মাণ করে, বাসা বাঁধে প্রবাসে। সন্তানেরা স্থানীয় সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠে। মানুষ চেষ্টা করে তাদের বাংলা ও ধর্মীয় সংস্কৃতি শিক্ষা দিতে। বাংলা ভাষা শেখাতে বা বাঙালি আদর্শে বড় করতে সন্তানদের। তবে না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না। অনেক বাচ্চা বাংলা বলতে পারলেও, লিখতে বা পড়তে পারে না। পোশাকেও থাকে স্থানীয় প্রভাব। 

যদিও পরিবারে মা-বাবারা বাংলা বলে, বাচ্চারা উত্তর দেয় স্থানীয় ভাষায়। দেশের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ কমতে থাকে। প্রবাসী সন্তানেরা মিশ্র সংস্কৃতিতে বড় হয়ে ওঠে অনেকটা। স্থানীয় সংস্কৃতির হয়ে বড় হয়। ভুলে যায় শিকড়। মানুষ প্রবাসে এসেছিল এক স্যুটকেস নিয়ে।করেছে অর্থনৈতিক উন্নতি নিজের ও দেশের। অবশেষে সব ফেলে একাই ফিরে যায়।জীবন ও যৌবন শেষে প্রজন্মকে রেখে যায় প্রবাসে। এভাবেই প্রবাসে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রজন্ম। বিদেশে সন্তান লালনপালনের বিষয়গুলো অনেক ব্যাপক এবং দুরূহ ব্যাপার। প্রথম প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ কিংবা আমেরিকান হয়ে একদিকে জীবন আর বাস্তবতার সঙ্গে বেঁচে থাকার লড়াই, অন্যদিকে ধর্ম আর সংস্কৃতিকে একসঙ্গে লালনপালন করার যুদ্ধ, সবকিছু মিলিয়ে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি আমরা সবাই।যদিও মেধা তালিকার শীর্ষে আমাদের ছেলেমেয়েরা।আমাদের প্রবাসীরা বিভিন্ন দিবস বা উৎসব পালন করার মতো শোক ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ২১ ফেব্রয়ারিকেও বেশ ঘটা করে পালন করেন। যুক্তরাজ্য, ইতালিসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে শহিদ মিনার গড়ে তোলার গৌরবও অর্জন করেছেন। যেসব দেশ পিছিয়ে ছিল, তারাও এখন আর কম এগিয়ে নেই।যারা প্রবাসে কর্মরত,তারা ব্যক্তিগতভাবেও বিভিন্ন উপায়ে বাংলাভাষার পরিচিতি তুলে ধরতে পারেন। একজন প্রবাসী যে কোনো দেশেই বসবাস করুন না কেন, সেখানে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে আগত বিভিন্ন সহকর্মীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। দিনে দিনে ভাব বা সখ্য গড়ে ওঠে। তার সুবাদে একজন প্রবাসী ব্যক্তি যদি দশ জন ভিনদেশির কাছে আমাদের ভাষার ঐতিহ্য, একুশের অহংকার ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার গৌরব বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হন-সে ক্ষেত্রে প্রচার ও প্রসারের মাত্রা এক বিরাট পরিসংখ্যানে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ছাড়া বাঙালিদের যথার্থ শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয় । 

একটি জাতির সর্বাঙ্গীন ইতিহাস, প্রগতি কেবলমাত্র ভাষাই যুগযুগ ধরে বয়ে নিয়ে যেতে পারে।  নিজের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান তো বটেই, পাশাপাশি সমগ্র একটি জাতির আদব-কায়দা, ভালো-মন্দের ইতিহাসও রচিত হয় ভাষার মাধ্যমেই।ভাষা শিক্ষা মানুষের প্রাচীন ইতিহাস থেকেই জ্ঞান অর্জনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পথ হিসেবে স্বীকৃত। মাতৃদুগ্ধ ছাড়া শিশুর সার্থক বিকাশ যেমন সম্ভব নয়, তেমনিই মাতৃভাষা ব্যতীত উপযুক্ত শিক্ষা অসম্পূর্ণ।তাই বিশ্বের যে কোনও প্রগতিশীল জাতির মধ্যেই মাতৃভাষার প্রতি কদর বিশেষভাবে লক্ষণীয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কিংবা দ্বিপাক্ষীক সভায় জার্মানী, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের মাতৃভাষায় বক্তৃতা দিতে বা কথা বলতে দেখি। প্রতিপক্ষকে নিজের বক্তব্য বা কথা বুঝিয়ে দিতে তাঁরা দোভাষীর আশ্রয় নেন। তার মানে এই নয় যে, তাঁরা ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন না। বরং তাঁরা বোঝেন নিজের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলা অমর্যাদাকর। কারণ এর ফলে অন্য জাতির প্রতি অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দাসত্বের সূচনা হয়।জনসংখ্যার ভিত্তিতে বর্তমানে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দশটি ভাষার একটি হলো বাংলা। বাংলার স্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে ব্রিটেনে শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি ভাষার একটি বাংলা। লন্ডনে ইংরেজির পরেই বাংলার অবস্থান। তাহলে বাংলার কেনো এমন বেহাল দশা? বাঙালি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বাঙালি সংগঠনগুলো, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপিরা, ব্রিটেনে বাংলাদেশ হাই কমিশন, ব্রিটিশ সরকারের উচ্চ পদে কর্মরত বাঙালিরা, বাংলা মিডিয়া গুলো  এবং সর্বোপরি বাঙালি মা-বাবা, অভিভাবকগণের কাছে কি এর কোনো জবাব আছে? ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী এলেই দেখা যায় বাংলা ভাষার প্রতি অধিক সচেতনতা আর ফেব্রুয়ারি চলে গেলেই ভাষার প্রতি অ সচেতনতা এটা মোটেও কাম্য হতে পারে না।

আমাদের নতুন প্রজন্ম বাংলা ভাষা থেকে একদম মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আগে এবং বাংলা ভাষা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পূর্বেই কিভাবে বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের সন্তানদের আকৃষ্ট করা যায় এবং স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে আবারো বাংলাকে ফিরিয়ে আনা যায়, তা ভেবে দেখার সময় এখনই।কম-বেশি সবারই জানা,কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই বিলেতে এসেছিলেন ইংরেজি ভাষায় লিখে তাঁর সাহিত্য কর্মকে বিশ্বসভায় ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু বাংলা, বাঙালি এবং দেশের মাটির টানে শেষ পর্যন্ত তিনিও দেশে প্রত্যাবর্তন করে বাংলা ভাষায় নিজের সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার প্রয়াসে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। কারণ তিনি প্রবাসে থেকে মাতৃভাষার গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। বর্তমানে ব্রিটেন প্রবাসী বেশিরভাগ বাঙালি মাতৃভাষাকে কতখানি ভালোবাসেন বা তাঁদের কাছে মাতৃভাষার গুরুত্ব কতোটা তা বুঝার ক্ষমতা কয় জনেরই বা আছে। ১৯৯০ এর দশকে একিউএ এক্সাম বোর্ডের অধীনে প্রায় চার হাজার বাংলা ভাষী ছাত্র-ছাত্রী বাংলা জিসিএসই পরীক্ষায় অংশ নিতো।২০২১ সালে বাংলা জিসিএসই পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের এন্ট্রি সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচশোর কাছাকাছি। এ থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় যে, বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রতি বাঙালি নতুন প্রজন্মের  শিক্ষার্থীদের অনীহা কতখানি বেড়েছে। একই সঙ্গে ব্রিটেনের মূলধারার স্কুল-কলেজে বাংলার প্রতি কর্তৃপক্ষের বিরূপ মনোভাব বর্তমানে বাংলা ভাষা প্রসারে অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি সুকৌশলে কর্তৃপক্ষ স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রম থেকে বাংলাকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। গুরুত্ব দিচ্ছে স্প্যানিশ বা ফ্রেঞ্চ এর মতো অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষাকে। এক সময় টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর প্রায় সব কটি সেকেন্ডারি স্কুলে বাংলা ভাষা পড়ানো হতো। এখন হাতেগোনা কয়েকটি স্কুলে বাংলা ভাষা শেখানো হয়। আবার এদের মধ্যে মাত্র দুটি সেকেন্ডারি স্কুলে ইয়ার সেভেন থেকে জিসিএসই পর্যন্ত বাংলা পড়ানো হচ্ছে। যা সত্যিই বাংলা ভাষা প্রেমীদের শংকিত করে তুলেছে।    

যাইহোক বাংলা ভাষার জন্য প্রবাসীরা যা কিছু ভূমিকা রেখেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস। এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় সহযোগিতা ও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি নিয়মানুগভাবে ইউনেসকোর ৩০তম অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়।১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকোর সেই সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের বছর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পৃথিবীর ১৮৮টি দেশে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়। এখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনের সামনে শহীদ মিনার বানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।এই অর্জন একদিকে যেমন বাঙালি ও বাংলা ভাষার অর্জন তেমনি সারা বিশ্বের সব মাতৃভাষার গুরুত্বের একটি স্বীকৃতি। প্রবাসী বাঙালিরা অন্য ভাষাভাষীদের এই একটি দিনে স্মরণ করিয়ে দিতে পারে এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাসটি আমাদের বাংলাদেশের। আমরা সেই জাতি যারা ভাষার জন্য একটা দেশকে স্বাধীন করেছি, সে দেশের নাম বাংলাদেশ। যেকোনো অর্জন নিয়ে আত্মতুষ্টি লাভ করা মানেই থেমে যাওয়া। আমাদের ভাষাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা বিশ্ব ভ্রা