তারেক-জোবায়দার রায়ে ইউট্যাব জবি শাখার উদ্বেগ প্রকাশ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৩
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়কে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (২ আগস্ট) ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান এক যৌথবিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্যই বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হলো। মূলত বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে দমনের লক্ষ্যেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক এই মামলাটি করেছিল। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের চক্রান্ত রয়েছে।”
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছর কারাদণ্ড
বিবৃতিতে আরও বলেন, “একটি ভিত্তিহীন মামলার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় ঘোষণার মাধ্যমে দেশের একজন জনপ্রিয় নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন এবং একজন বরেণ্য চিকিৎসকের সম্মান ক্ষুন্ন করা হলো। এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”
আরও পড়ুন: আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি-আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের ধস্তাধস্তি
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, “২০০৭ সালের জরুরি সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মামলাগুলো উধাও হয়ে যায়। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থ পাচার করে কানাডায় বেগম পল্লী তৈরি হলেও এসব দুর্নীতি তদন্তে দুদকের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কারণ সরকারপন্থীরা এসব লুণ্ঠনে জড়িত। তাই তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় দেওয়ার মানে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করা।”
জেবি/এসবি