শোকের মাসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪০ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৩


শোকের মাসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সিঁড়ি থেকে নামার সময় ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ছুড়ি আঘাতে মুক্তারিক সাবিক নামে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।


রবিবার (২০ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে 'মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব' শীর্ষক আলোচনা শেষে টিএসসিসি সংলগ্ন আমবাগানে সংঘর্ষটি ঘটে। 


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানশেষে আমবাগানে নেতাকর্মীরা একত্র হতে থাকলে প্রোগ্রামে সিট দখল ও সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় ছাত্রলীগের একপক্ষ অন্যপক্ষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জিয়া হল ছাত্রলীগ ও শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে এনামুল রায়হানের অনুসারী ব্যবস্থাপনা বিভাগের আকিব (২০/২১) রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মুক্তারিক সাবিককে ছুরিকাঘাত করলে গরুতর আহত হয় সে।


এ বিষয়ে আহত মুক্তারিক সাবিক বলেন, সিঁড়িতে নামার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আকিব নামের শিক্ষার্থী আমাকে ছুড়িকাঘাত করে। পরে আমার বন্ধু ও সিনিয়ররা আমাকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।


তবে ছুড়িকাঘাতের ঘটনা অস্বীকার করেছে ম্যানেজম্যান্টের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আকিব। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি কখনোই ছুড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে পারিনা। উলটো আমার উপর অতর্কিতভাবে কিছু শিক্ষার্থী হামলা করে। আমি কোনোরকমে ওখান থেকে বেঁচে রুমে এসে আশ্রয় নেই।


আপনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আকিব বলেন, আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী। জিয়া হলে এনামুল রায়হান ভাইয়ের রাজনীতি সহ শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি।


আকিব এনামুল রাইহানের অনুসারী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই ২০১৬-১৭ থেকে তো সবাই আমার সাথে থাকতো এক'ই সাথে রাজনীতি করতো। এখনতো আমি আর সেখানে থাকি না। জিয়া হলে যেই রাজনীতি করে সবাই তো আমার নামই বলে।


এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বন্ধুদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি ও হাতিহাতির ঘটনা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। শোকের মাসে এমন একটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ছাত্রলীগের কোনো কর্মী যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকে তবে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। পূর্বসূত্রতার জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিস্তারিত জেনে এবিষয়ে ব্যবস্থা নিব।


আরএক্স/